সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ২১টি সমমনস্ক বিরোধী দলকে। উপস্থিত থাকবে মোটে ১২টি দল। অনুপস্থিত থাকার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আরও ৯টি দল। ফলে ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo) সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে যে ‘মহাসমারোহে’ পরিণত করার ইচ্ছা কংগ্রেসের ছিল, সেটা আদৌ মহাসমারোহ হবে তো? প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে।
উপস্থিতির থেকে অনুপস্থিতির তালিকা ছোট হলেও অনুপস্থিত দলগুলির রাজনৈতিক ‘ওজন’ অনেক বেশি। আর তাতেই চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে রাহুলের যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছে ১২টি দল। এদের অধিকাংশই কংগ্রেসের জোটসঙ্গী। উপস্থিত থাকবেন ডিএমকে’র প্রতিনিধি। থাকবে শরদ পওয়ারের এনসিপি (NCP), তেজস্বী যাদবের আরজেডি, উদ্ধব ঠাকরের সেনা, নীতীশ কুমারের জেডিইউ, শিবু সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, আবদুল্লাহদের ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং মেহবুবা মুফতির পিডিপি। এছাড়াও থাকছে সিপিআই, সিপিএম, ভিসিকে, কেরালা কংগ্রেসের মতো ছোট দলগুলি।
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিদ্যাসাগরকে, কেন প্রত্যাখ্যান করেন তিনি?]
এবার আসা যাক না থাকার তালিকায়। যে দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সেই দলগুলির মধ্যে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় অনুপস্থিতি হল তৃণমূল কংগ্রেস। এরাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসের সঙ্গে একমঞ্চে থাকতে নারাজ। অন্য বড় দলগুলির মধ্যে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party), মায়াবতীর বিএসপি (BSP), চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপিও থাকছে না ভারত জোড়ো’র সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। আর আম আদমি পার্টি, কেসিআরের (KCR) তেলেগু দেশম পার্টিকে তো আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে এক সপ্তাহে রাজ্য থেকে মোগল ও ব্রিটিশদের স্মৃতি মুছে দেব, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর]
সব মিলিয়ে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে যে বিরোধী ঐক্যের বিরাট মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা কংগ্রেস করছিল, সেটা হচ্ছে না। উলটে একাধিক বড় দলের প্রত্যাখ্যান হাতের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দেবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও কংগ্রেসের স্বস্তি অন্তত নিজেদের জোটসঙ্গীদের সবাইকে একসঙ্গে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির করতে পারছে তাঁরা।