অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সরকারি হাসপাতালের ভিতরে যৌন হেনস্তার শিকার ১২ বছরের কিশোরী। হাওড়া জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান বিভাগের এই ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালের চত্বরে। বিষয়টি নিয়ে রবিবার সকালে স্মারকলিপি দিতে হাসপাতালের সুপারের ঘরে ঢুকেছিল ডিওয়াইএফআইয়ের নেতাকর্মীরা। পুলিশও ঢোকে। ঘরের ভিতরেই দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২৮ আগস্টে বুকে ব্যথা নিয়ে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল শিবপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরী। শনিবার রাতে সাড়ে ১০টার পর তাকে সিটি স্ক্যান করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ওই সময় সিটি স্ক্যান বিভাগে কর্তব্যরত আমন্দ রাজ নামে এক অস্থায়ী কর্মী কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করে। এমনকী, কিশোরী যাতে চিৎকার না করতে পারে তাই তাকে একটি ঘরে আটকে রাখে।
[আরও পড়ুন: স্যালাইন দেওয়ার সময় নার্সের শ্লীলতাহানি রোগীর! বীরভূমের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উত্তেজনা]
পুলিশ জানায়, কিশোরীর পরিবারের লোকজনকে প্রথমে স্ক্যান বিভাগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের বাইরেই অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করার পর মেয়ে ফিরছে না দেখে তাঁরা ভিতরে ঢুকে যান এবং মেয়েকে উদ্ধার করে বাইরে আনার পরেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এর পরেই ওই কিশোরীর পাড়া থেকে শয়ে-শয়ে বাসিন্দা রাতেই হাসপাতালে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরিবারের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েই পুলিশ সিটি স্ক্যান বিভাগের ওই অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। রাতে হাসপাতাল চত্বরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় ছুটে আসে হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। রবিবারও হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা রয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বামেরা। DYFI নেতৃত্বের প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা কোথায়? হাসপাতালে যদি এই ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয় মহিলারা চিকিৎসা করাবে কোথায়?