নন্দন দত্ত, বীরভূম: পেরিয়েছে ৪৩ বছর। সোমবার বীরভূমের কোটা গ্রামের গণহত্যার রায় ঘোষণা করল আদালত। ১৩ দোষীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বীরভূম জেলা আদালত। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২ দোষী।
সালটা ১৯৮১। বীরভূমের মাড়গ্রামের একই পরিবারের মোট ৯ যুবক গিয়েছিলেন কোটাগ্রামে, দিদির বাড়িতে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন সহোদর। ৩ জন তুতোভাই। সেখানেই গজলকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। পরবর্তীতে গ্রামের লোকেরা ওই ৯ যুবককে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে বাঁচতে তাঁরা একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে দমবন্ধ অবস্থায় ঘর থেকে বেরতেই তাঁদের কুপিয়ে খুন করা হয়। মৃতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। তার মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষে ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সোমবার সেই মামলায় ১৩ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত। এদিন সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশই মারা গিয়েছেন। তাঁদের মৃত্যুর রিপোর্ট আদালতে জমা পড়তে পড়তে পরের তারিখে হয়তো আবারও কোনও অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। এই কারণেই মামলা শেষ হতে এত দেরি হল।” ১৩ জনের মধ্যে ২ জন এদিন নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন। তাঁদের আইনজীবী হাই কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন।