সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো এনসিসি ক্যাম্পের নামে স্কুলে ১৩ নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি এলাকায়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্যাম্পের আয়োজক স্কুলের প্রিন্সিপাল, দুই শিক্ষক-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এক বেসরকারি স্কুলে এনসিসি ক্যাম্প করার প্রস্তাব দিয়েছিল একটি সংস্থা। স্কুলকে জানানো হয়, এই ক্যাম্পের আয়োজন করলে পরবর্তী সময়ে স্কুলটি এনসিসি ইউনিটের যোগ্য করে তুলবে তারা। সংস্থা সঠিক না ভুয়ো যাচাই না করেই ৩ দিনের জন্য ওই সংস্থাকে ক্যাম্প আয়জনের অনুমতি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৭ নাবালিকা হয় মোট ৪১ জন পড়ুয়া অংশ নেয় ক্যাম্পে। মেয়েদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয় স্কুলের প্রথম তলায় অডিটোরিয়ামে এবং ছেলেদের জন্য নিচে। ক্যাম্পের তদারকির জন্য ছিল না স্কুলের কোনও শিক্ষক। অভিযোগ, রাতে অডিটোরিয়াম থেকে মেয়েদের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাদের যৌন নিগ্রহ করা হয় এবং এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।
[আরও পড়ুন: ইন্দিরার মতো মমতাকেও গুলি করে হত্যার নিদান! গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া]
এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার পি থাঙ্গাদুরাই বলেন, এনসিসি ক্যাম্পের নামে পড়ুয়াদের যৌন নিগ্রহ হয়েছে এ কথা জানত স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া তো দূর। গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে স্কুল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগেই একাধিক স্কুলে এমন ভুয়ো এনসিসি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ওই সংস্থা। সেখানেও পড়ুয়াদের সঙ্গে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতাদের মেডিক্যাল টেস্টের পাশাপাশি পক্সো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, জওয়ানদের হাতে রাখি পরালেন কাশ্মীরের বোনেরা]
যৌন নিগ্রহ ও গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে স্কুলের প্রিন্সিপাল-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ৩০ বছর বয়সি এনসিসি আধিকারিক শিবরামণ নামে এক অভিযুক্তের তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তিই রাতে মেয়েদের বাইরে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করত। ৮ আগস্ট এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।