বাবুল হক, মালদহ: এ এক সম্প্রীতির পীঠস্থান। স্বরাজ পাল, অর্ঘ্যদীপ সাহাদের সঙ্গে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় রিফাত হাসান, সারোয়ার ইমতিয়াজরাও। প্রত্যেকেই এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া। মালদহের ঐতিহ্যবাহী রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের নজরকাড়া সাফল্যে এবার নাম জুড়েছে ইমতিয়াজদেরও।
মাধ্যমিকে যুগ্ম দ্বিতীয় রিফাত হাসান সরকার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই পড়াশোনা করেছে। মেধাতালিকায় জায়গা দখলকারী মাহির হোসেন, রায়ান আবেদিন, ফাহিম আনিস, আয়ান রশিদরাও রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য পীঠস্থান মালদহের এই রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির।
[আরও পড়ুন: একদিনও সময় নেই! ক্ষোভপ্রকাশ করেও CBI-কে সহযোগিতার বার্তা অভিষেকের, খোঁচা বিরোধীদের]
তবু সংখ্যালঘুদের একটা অংশের মনের মধ্যে সামান্য হলেও একটা ভ্রান্ত ধারণা লক্ষ্য করা যায়। মুসলিম ছাত্ররাও যে এই বিদ্যামন্দিরে ভরতি হতে পারে, পড়াশোনা করে ভাল ফল করতে পারে, সেটাই দেখিয়ে দিল রিফাত হাসানরা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্যে খুশি রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধানশিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দ। প্রধানশিক্ষক বলেন, “আমাদের স্কুলে হিন্দু, মুসলিম, সমস্ত ছেলেই পড়াশোনা করে। মেধাতালিকায় অনেক মুসলিম ছেলে এসেছে। অতীতেও এখানে মুসলিম ছেলেরা ভালো ফল করেছে। এবারও করেছে।”
রামকৃষ্ণ মিশনে মুসলিম ছেলেরা নাকি অতীতে ভরতি হতে পারত না, এমন ধারণা যে একেবারেই সঠিক নয়, তা জানিয়ে দেন মালদহের মহারাজ। তিনি বলেন, “ওই ধারণা সঠিক নয়, আমাদের এখানে হিন্দু, মুসলিম-সহ সব ধর্মাবলম্বী ছাত্র ভরতি হতে পারে। পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতির জন্য অভীক্ষা পরীক্ষা দিতে হয়।” মালদহ জেলায় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের একটি ইউনিট এই বিদ্যালয়। ১৯৪৪ সালে এখানে আশ্রম শুরু হয়। সেবছর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দ বলেন, “এখানে কখনও ভেদাভেদ ছিল না। এখনও ভেদাভেদ নেই।”
দেখুন ভিডিও: