সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য পেল আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করল ১৩০ জন তালিবান (Taliban) জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: ‘লাল সন্ত্রাসে’ গণতন্ত্রের মৃত্যু! Apple Daily নিয়ে চিনকে তীব্র ভর্ৎসনা বাইডেনের]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আফগানিস্তানের পশ্চিমে হেরাত প্রদেশে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ১৩০ জন তালিবান সদস্য। তারা ৮৫টি একে-৪৭ রাইফেল, পাঁচটি অন্য বন্দুক ও পাঁচটি রকেট শেল জমা দেয়। আফগান গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটি’র মুখপাত্র জিলানি ফরহাদ জানিয়েছেন যে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে বড়সড় সাফল্য। এর ফলে হেরাত প্রদেশে দ্রুত শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরবে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি তালিবান। বিশ্লেষকদের মতে, হেরাত-সহ আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে শক্তিবৃদ্ধি করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (Islamic State)। তালিবানের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও ক্রমাগত বাড়ছে। আইএস জঙ্গিদের হামলায় তালিবানের বেশ কয়েকজন স্থানীয় কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দিশেহারা তালিবান সদস্যদের অনেকেই আত্মসমর্পণ করতে পারে। তবে তার মানে এই নয় যে সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ফৌজ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। আফগানিস্তানের প্রায় তিনশো জেলার মধ্যে ইতিমধ্যে তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে পঞ্চাশটিরও বেশি। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হবে সমস্ত মার্কিন সেনা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া। কিন্তু মার্কিন (US) গোয়েন্দারা সতর্ক করে জানাচ্ছেন, সেনা সরে যাওয়ার মাস ছয়েকের মধ্যেই কাবুল (Kabul) চলে যাবে তালিবানদের (Taliban) দখলে। ১ মে থেকেই আফগানিস্তানে পুরনো তৎপরতায় ফিরতে শুরু করেছে তালিবানরা। এর মধ্যেই দেশের বহু অঞ্চল চলে গিয়েছে তাদের দখলে। ওই সময় থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে আমেরিকা। সেনা সরতে শুরু করতেই তালিবানরা যে মূর্তি ধারণ করেছে, তা থেকে কাবুল দখল করার আশঙ্কা ক্রমেই জোরদার হতে শুরু করেছে।