সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা প্রকোপ ঠেকাতে রাজ্যে নতুন করে কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য। গত ৯ জুলাই থেকে কনটেনমেন্ট জোনে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হয়েছে। নিয়ম ভাঙলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়ে রেখেছে প্রশাসন। কিন্তু এরপরও বাগে আনে যাচ্ছে না এই মারণ ভাইরাসকে (Coronavirus)। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। ভাঙছে অতীত রেকর্ড। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৪৪ জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে ৪১২ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। গতকালই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ১,১৯৮। তাই সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী গ্রাফ বেশ স্পষ্ট। রাজ্যে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ৪৫৩-য়। বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসও। শনিবারের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাটা ৯ হাজার ৫৮৮। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। একদিনে করোনার বলি ২৬ জন। তিলোত্তমাতেই শুধু প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃত ৯০৬ জন।
[আরও পড়ুন: করোনার থাবা উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে বড় সেনা ছাউনিতে, বিন্নাগুড়িতে আক্রান্ত ২০ জওয়ান]
চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে সুস্থতার হারও। দিন কয়েক আগেই প্রায় ৬৭ শতাং মানুষের সুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনাজয়ীর থেকে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এদিনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় সুস্থতার হার ৬৩.১১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬১১ জন। যার মধ্যে কলকাতায় সুস্থ ১৮৩ জন। এখনও পর্যন্ত বাংলার মোট করোনাযোদ্ধা ১৭ হাজার ৯৫৯ জন।
তবে দ্রুত করোনা রোগী চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়াও চলছে সমান তালে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪০৩টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬ লক্ষ পাঁচ হাজার ৩৭০টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। দিনে লক্ষাধিক নমুনা পরীক্ষা করতে সুইডেন থেকে ৮টি বিশেষ যন্ত্র আনছে রাজ্য বলে খবর। প্রসঙ্গত, সংক্রমণ রুখতে এদিনই কলকাতায় বাড়ানো হয়েছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। ২৫ থেকে বেড়ে সংক্রমক এলাকা বর্তমানে ২৮টি। তবে এভাবে কি আটকানো যাবে ভাইরাস? উত্তর অধরাই।
[আরও পড়ুন: দেবীমূর্তির সঙ্গে জড়িয়ে বিশ্বাস, হারানো মূর্তি উদ্ধারের দাবিতে আউশগ্রামে পথ অবরোধ]
The post নতুন করে লকডাউনেও বাগে আসছে না সংক্রমণ, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার appeared first on Sangbad Pratidin.