সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোলের ছেলে জন্ম থেকে কথা বলতে, শুনতে পারে না। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সন্তানকে নিয়ে বড় দুর্ভাবনায় ছিলেন বাবা-মা। চিকিৎসাও চলছিল সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু অস্ত্রোপচার আটকে গিয়েছিল। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই খুদের চিকিৎসা নিখরচায় করার বার্তা দিলেন।
সুদূর জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেনে করে ছেলেকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার পৌঁছেছিলেন ওই দম্পতি। ‘সেবাশ্রয়’ ক্যাম্পের চিকিৎসকরা ওই ছেলেটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেন। সে জন্ম থেকে কথা বলতে পারে না। কারও কোনও কথা শুনতেও পারে না। ইশারার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। ছেলে কি কোনও দিন স্বাভাবিক হবে না? সকলের মতো কথা বলতে পারবে না? শুনতে পারবে না কারও কথা? প্রতিদিন এই বিষয়টি কুঁড়েকুঁড়ে খাচ্ছে বাবা-মাকে।
সইদ হোসেন প্রধান নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ছেলেকে নিয়ে তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে দুশ্চিন্তায় আছেন। গত সাত মাস ধরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হওয়ায় আরও দুশ্চিন্তা বেড়েছিল। ইন্টারনেটে ওই দম্পতি সেবাশ্রয় ক্যাম্পের কথা শোনেন। তারপরই তাঁরা ওই ক্যাম্পে হাজির হন। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষার পর জানান, ছেলে সুস্থ হবে। কিন্তু সেজন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। 'কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট' করার পরামর্শ দেন তাঁরা।
ওই পরিবারের কথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের কাছে গিয়েছিল। তারপরই তিনি ওই পরিবারের কাছে বার্তা পাঠান। বিনামূল্যে যাতে ওই অস্ত্রোপচার করা হয়, সেই আশ্বাস তিনি দিয়েছেন। ছেলে যাতে কথা বলতে-শুনতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কথা শুনে অভিভূত ওই দম্পতি। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আমজনতার দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে চিকিৎসা। ‘সেবাশ্রয়ে’ আমজনতার উপস্থিতি দেখে আপ্লুত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।