সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষমদ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হল ১৪ পরিযায়ী শ্রমিকের। উজ্জয়িনীর এই ঘটনায় চার পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন। অবৈধভাবে মদ তৈরি ও বিক্রির জন্য ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে উজ্জয়িনীর বিভিন্ন এলাকায় ৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে খারাকৌন পুলিশ স্টেশন এলাকায় ২ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। দিনভর উজ্জয়িনীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। জানা যায়, স্থানীয় মদ পোলাটি খাওয়ার কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ‘জিনজার টিংচার’ নামক এক ধরনেরক রাসায়নিক দিয়ে এই মদ তৈরি করা হয়।
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে যুবককে গুলি করে খুন বিজেপি বিধায়ক ঘনিষ্ঠের! ফের প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা]
এই ঘটনায় তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে শিবরাজ সিং চৌহান সরকার। খারাকৌন পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ এম এল মীনা, সাব ইন্সপেক্টর নিরঞ্জন সরকার ও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করে। অবৈধভাবে মদ প্রস্তুতকারক ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা জানিয়েছে, তারা ইথাইল ইথার হেক্সেন রাসায়নিক ব্যবহার করে মদ তৈরি করেছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছে, জিনজার টিংচার সাধারণত কোনও রাসায়নিক সামগ্রীর শিল্পৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে মিথানল নামক আরও এক বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে। যা জলের সঙ্গে মিশলে কার্যত বিষে পরিণত হয়।
বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিন সদস্যের বিশেষ টিমও তৈরি হয়েছে।। সেই তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য তথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (আইন-শৃঙ্খলা) রাজেন্দ্র রাজোরা জানিয়েছেন, “এই ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকী, অভিযুক্ত আধিকারিকদের ভূমিকা ও আবগারি দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।”