সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনা নেপালে। শুক্রবার দুপুরে নদীতে পড়ে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। জানা গিয়েছে, ৪০ জন যাত্রী ছিলেন ওই বাসে। তাঁরা সকলেই ভারতীয়। বাসটিও উত্তরপ্রদেশে নথিবদ্ধ ছিল। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে স্থানীয় পুলিশের তরফে এখনও সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়নি।
নেপাল পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। শুক্রবার পোখরা থেকে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল বাসটি। পথে তানাহুন জেলার মারসিংডি নদীতে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই বাস। তবে নদীর তীরেই বাসটির খোঁজ মিলেছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর। স্থানীয় ডিএসপি দীপকুমার রায়া জানান, বাসটিতে উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট রয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নেপালের সেনাও।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের স্বাধীনতার পরে প্রথমবার, ইতিহাস গড়ে কিয়েভে পৌঁছলেন মোদি]
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ১৬ জন। স্থানীয় এসএসপি মাধব পডেলের নেতৃত্বে ৪৫ জন পুলিশকর্মীর দল ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, পোখরার মাঝেরি রিসর্টে ছিলেন ওই বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে তাঁরা রওনা দেন কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের মধ্যে কেউ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে যোগীরাজ্যের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত মাসেও ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে নেপাল। রাস্তায় ধস নেমে নদীতে পড়ে যায় দুটি যাত্রীবোঝাই বাস। তার জেরে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন সাত ভারতীয়ও। এবারের দুর্ঘটনায় আরও বেশি সংখ্যক ভারতীয়র মৃত্যুর আশঙ্কা।