সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Prime Minister Sheikh Hasina) হত্যার চেষ্টা মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। এই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি মামলার রায় আগেই ঘোষণা করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ আগুন, শিশু-সহ মৃত ৮]
২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্র হয়। প্রায় দুই দশক মামলা চলার পর মঙ্গলবার ঢাকার ফাস্টট্র্যাক ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মহম্মদ কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৪ আসামির মধ্যে ৯ জন কারাগারে রয়েছে। বাকি ৫ জন এখনও পলাতক। এদিন সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এর আগে গত ১১ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেছিল আদালত। প্রসঙ্গত, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান এই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হল–মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন মামলা করেন।