সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে গিয়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি আরও ১৯ যাত্রীর। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সুলাওয়েশি দ্বীপের কাছেই ডুবে যায় ফেরিটি। কীভাবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই দু’টি দলে ভাগ হয়ে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় যাতায়াত করার অন্যতম প্রধান উপায় হল নৌকা বা ফেরি। অনেক সময়েই বেশি সংখ্যক যাত্রী তোলা হয় এই নৌকাগুলিতে।
সুলাওয়েশি দ্বীপের স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে বাটন দ্বীপ থেকে মুনা দ্বীপে যাচ্ছিল নৌকাটি। অন্তত ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন সেখানে। যাওয়ার সময়ে আচমকাই ডুবে যায় নৌকাটি (Indonesia Ferry Sinks)। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করে প্রশাসন। যাত্রীদের মধ্যে ৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় ১৫ জনের মৃতদেহ।
[আরও পড়ুন: শহরে ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত, স্বাগত জানাতে মাঝরাতেই বিমানবন্দরে লাল হলুদ জনতার ঢল]
উদ্ধারকারী দলের প্রধান মহম্মদ আরাফা জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে এখনও ১৯ জনের খোঁজ মেলেনি। তবে দুই ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। জলের গভীরে ডুব দিয়ে যাত্রীদের সন্ধান চালাচ্ছেন একদল। অন্যরা নৌকা করেই তল্লাশি চালাচ্ছেন, যেন জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া যাত্রীদের খোঁজ মেলে। উদ্ধার হওয়া ছ’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন আরাফা। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নৌকার যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে। আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে, লাভের আশায় বেশি সংখ্যক যাত্রী তোলা হয় নৌকায়। তার জেরে আগেও ফেরি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। গত বছরও ৮০০ যাত্রীকে নিয়ে ডুবে গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার একটি ফেরি। এমন ঘটনা থেকেও যে শিক্ষা মেলেনি, সোমবারের নৌকাডুবির ঘটনাই তার প্রমাণ।