shono
Advertisement

৫ বছর ধরে কলকাতা হাই কোর্টের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে অবশেষে চাকরি পেলেন ১৫ শিক্ষক

প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও নম্বর পাননি তাঁরা।
Posted: 04:46 PM Jun 17, 2023Updated: 04:46 PM Jun 17, 2023

গোবিন্দ রায়: দীর্ঘ লড়াইয়ের ‘পুরস্কার’। ৫ বছর ধরে কলকাতা হাই কোর্টের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে অবশেষে চাকরি পেলেন ১৫জন শিক্ষক। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে রেখা রায়, শবনম আরা, রূপালী বেজ-সহ ১৫ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের গাফিলতির কারণে চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন ১৫ শিক্ষক। তার থেকে শুরু হয় দীর্ঘ লড়াই। অবশেষে মিলল সুবিচার। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই ১৫ জনকে নিয়োগের যোগ্য বলে বিবেচিত করে সুপারিশপত্র ইস্যু করে। ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যোগ্যদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের ১৫ দিনের মধ্যে স্কুলে যোগ দিতেও বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: স্ক্রুটিনিতে ড্রোন ওড়াল মনোনয়নে ‘দর্শক’ পুলিশ, এখনও থমথমে ভাঙড়]

২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণীর এসএলএসটি নিয়োগে ব্যাপক হারে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। ইতিহাস বিষয়ের একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেও চাকরিপ্রার্থীদের অতিরিক্ত এক নম্বর দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন বলে অভিযোগ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি যে OMR শিটে কারচুপি হয়েছিল, তাও প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আর তা সামনে আসতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘দুর্নীতি’ ফাঁস হয়ে যায়।

মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানিয়েছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশ্ন ছিল, “গান্ধী আরউইন চুক্তি কখন সম্পাদিত হয়?” চারটি অপশনের মধ্যে মামলাকারীরা উত্তর দেন গান্ধী আরউইন চুক্তি হয় মার্চ ১৯৩১ সালে। কিন্তু এসএসসি জানায় মামলাকারীদের উত্তপ ভুল। সঠিক উত্তর মে ১৯৩১ সালে। সে কারণেই এক নম্বর দেওয়া হয়নি। তবে এতদিনে মিটল জটিলতা।

[আরও পড়ুন: মনোনয়নের পর স্ক্রুটিনিতেও অশান্তি, কোচবিহারে ফের ‘আক্রান্ত’ নিশীথ প্রামাণিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement