স্টাফ রিপোর্টার: আদানি ইসুতে বিতর্ক হবে। তবে সেটা সংসদ অচল করে নয়। সোমবার এভাবেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
জানিয়ে দিল, অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলারও কিছু দাবিদাওয়া আছে। বিশেষ করে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনায় বঞ্চনা- জনস্বার্থে সেসব বলার সুযোগ রেখেই সংসদে আদানি বা অন্য জনবিরোধী ইস্যুতে প্রতিবাদ চলবে। সোমবার এ নিয়ে কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় দলের কী ভূমিকা হবে তা বুঝিয়ে দেন। তার মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠকে কেন তৃণমূল অংশ নিল না, তা নিয়ে। যার ব্যাখ্যা দিয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন অনেকে। আমাদের দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ছিল এদিন। সাংসদরা এই বৈঠকে ছিলেন। আর ইন্ডিয়া বৈঠকে যাওয়া হয়নি বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আর তাদেরই বা অত তাড়াহুড়োর কী ছিল? কাল বা পরশুও তো বৈঠক হতে পারত।”
সঙ্গে আদানি ইস্যুতে দলের অবস্থানের ব্যাখ্যা দিয়ে কুণাল বলেন, “আদানি ইস্যুতে নিশ্চিতভাবে সংসদে প্রতিবাদ হবে। তা বলে ওই ইস্যুতে লাগাতার সংসদ অচল করে যদি বন্ধ করা হয় বিক্ষোভের জেরে, তাহলে বহু রাজ্যের যে বলার বিষয়গুলো থাকে সেগুলোর কী হবে? বাংলার ১০০ দিনের কাজ, আবাসের বঞ্চনা নিয়ে আমাদেরও বলার আছে। শুধু আদানি আদানি করে হাউস বন্ধ করলে তো বিজেপিরই লাভ। বিজেপিরই উদ্দেশ্য চরিতার্থ হবে। বিজেপিকে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না। তাহলে শুধু মুলতবি আর বিক্ষোভ করে কি বিজেপিরই সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে? বাংলা-সহ বাকি রাজ্যের দাবিদাওয়াগুলোর কী হবে?”