সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা মহামারীর থাবায় বেসামাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। কিছুতেই থামছে না মৃত্যুমিছিল। পরিস্থিতি আরও জটিল করে এই মারণরোগের হামলায় দেশে এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৪ জন চিকিৎসক। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথমসারির যোদ্ধাদের মৃত্যুতে প্রবল উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: মোদি বিরোধী বিক্ষোভের মূলচক্রী হেফাজত নেতার অ্যাকাউন্টে মিলল ৬ কোটি টাকা]
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। টিকাদান পর্ব শুরু হলেও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি, জরুরি ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে। এহেন সংকটকালে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অসুস্থ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের কেউ হাসপাতালে, কেউ বা চেম্বারে আবার কেউ অনলাইনে সেবা দেওয়া-সহ বিভিন্ন ভূমিকা পালন করছেন। এর মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ১৫৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার দু‘জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. এ বি এম শামসুল হুদা।
এদিকে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২ হাজার ১৭৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এতে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৩২ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১ হাজার ৪৬ জনের। সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন উৎপাদনে রাশিয়া ও চিনকে অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন।