সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রাজ্যবাসী। একদিকে যেমন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা, ঠিক তেমনই অন্যদিকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উঠছে হাজারো অভিযোগ। অক্সিজেন থেকে ওষুধ, হাসপাতাল বেডের অভাবে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিনের মতো সোমবারই ঊর্ধ্বমুখী বাংলার করোনা গ্রাফ। চিন্তা বাড়াচ্ছে ক্রমবর্ধমান অ্যাকটিভ কেস।
সোমবার স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ১৫,৯৯২ জন। আপাত দৃষ্টিতে গতকালের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও রবিবারের তুলনায় এদিন টেস্টের সংখ্যাও কম। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ৩,৮৬৮ জন। সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ৩,৪২৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৮২। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৯১৪ ও ৮১৮ জন।
[আরও পড়ুন: জ্বর নিয়েই গোসাবা থেকে ছুটে এলেন ক্যানিং, করোনা পরীক্ষার লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু প্রবীণের]
ভোটের আগে উল্লেখযোগ্যভাবে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে বীরভূমে। একদিনে সেখানে আক্রান্ত ৭০৪ জন। এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেও পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমণের উৎসাহ কমেনি। ফলে দার্জিলিংয়ে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমার নাম নিচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩০১ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৪২ জন। একইসঙ্গে এই ভাইরাস এখনও কেড়ে চলেছে মানুষের প্রাণও। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি ৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১১ হাজার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।
এদিকে, গত কয়েকদিনের মতোই উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের একলাফে অনেকখানি বাড়ল রাজ্যের অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৯৪ হাজার ৯৪৯। এই বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেসের জন্যই হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে বেড সংকট।
তবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে ভরসা জোগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯,৭৭৫ জন। এ নিয়ে মোট ৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৮৪ জন করোনাজয়ী। উদ্বেগ বাড়িয়ে সুস্থতার হার গতকালের তুলনায় ফের কমল। বর্তমানে ৮৬.০৬ শতাংশ মানুষ মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দেশজুড়ে টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ হাজার ৫৬২ জনের।