সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত ও চিন (China)। শুক্রবার চুশুল-মলডো বর্ডার পয়েন্টে আলোচনা শুরু করেন দুই দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা। এর আগে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে সেনা কমান্ডার স্তরে চোদ্দ দফা আলোচনা হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: শান্তিবার্তার মাঝেই দেপসাংয়ে ফের আগ্রাসী লালফৌজ! উপগ্রহ চিত্রে ফাঁস চিনের ষড়যন্ত্র]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন লাদাখ সীমান্তের চুশুল-মলডো বর্ডার পয়েন্টে সকাল ১০টা থেকে পনেরোতম বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, এবার গোগরা হটস্প্রিং ও দেপসাং সমতল থেকে সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে। এর আগে বেশ কয়েকদফা আলোচলার ফলস্বরূপ সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদের বিতর্কিত অঞ্চল থেকেসেনা প্রত্যাহার শুরু করে দুই দেশ। তবে প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ে ‘ফিংগার ৮’ থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজ তৈরি করেছে চিন। দুই দেশের মধ্যে ফিংগার ৮-কেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বলে মনে করে ভারত। ফলে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিনের এহেন কার্যকলাপে রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছে নিরাপত্তামহল।
২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। তবে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং (Pangong) থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার গোটা পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে দুই দেশের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ভারত ও চিনের মধ্যে চলা বিবাদ নিয়ে রাশিয়া জানিয়েছে, দুই দেশ চাইলে মস্কো মধ্যস্থতায় রাজি। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও চিন দুই দেশের উপরই বিস্তর প্রভাব রয়েছে রাশিয়ার। কৌশলগত কারণেই দুই বন্ধু দেশের মধ্যে যুদ্ধ হোক তা চায় না মস্কো। বেজিংয়ের আগ্রাসন নয়াদিল্লিকে আমেরিকার আরও কাছে ঠেলে দেবে। তাই পর্দার আড়ালে লাদাখ নিয়ে দৌত্য অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।