বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর ভয়াবহ দুর্ঘটনা নদিয়ায় (Nadia)। কুয়াশা ও বেলাগাম গতির বলি অন্তত ১৭। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতায় চিকিৎসাধীন আরও ৭ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকায়। অভিযোগ, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক মদ্যপ ছিলেন। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে একটি মৃতদেহ নিয়ে সৎকার করতে নবদ্বীপে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। রাত দেড়টা নাগাদ শববাহী গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৬ জনের। এদিকে দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই প্রাথমিক উদ্ধারকার্য শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে আহতদের কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: কেপমারকে ধরতে গিয়ে লুটেরাদের পাল্লায় জ্যোতিষী, খাস কলকাতায় খোয়ালেন সর্বস্ব]
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৬ জনের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আরেকজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মৃতদের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ১৭ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত। মৃতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৭ জন মহিলা ও এক শিশু রয়েছে।
[আরও পড়ুন: Kolkata Civic Polls: পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী প্রয়াত বামনেতার মেয়ে, তালিকায় একাধিক চমক]
স্থানীয় সূত্রে খবর, নবদ্বীপের শ্মশানে সৎকার করতে আসছিলেন ২৫ জন। মালবাহী গাড়িতে ছিলেন তাঁরা। মহিলা যাত্রীও ছিলেন গাড়িটিতে। ছিল এক শিশুও। পুরুষ যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ। গাড়ির চালকও মদ্যপ ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান স্থানীয়দের। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রাত পৌনে দুটো নাগাদ দ্রুত গতিতে আসছিল গাড়িটি। রাস্তায় কুয়াশা থাকায় চালক দেখতে পাননি। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে।