সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষোভের আগুন পুড়ছে ছবির দেশ, কবিতার দেশ। পুলিশের গুলিতে কিশোরের মৃত্যুর প্রতিবাদে টানা চারদিন অগ্নিগর্ভ ফ্রান্স (France)। ৪৯২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত, ২০০০ গাড়ি পুড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আশান্তি ছড়িয়েছে রেনোয়াঁ, বোঁদলেয়ারের দেশের ৩৮৮০টি অঞ্চলে। হাজারের উপরে গ্রেপ্তারি চালিয়েছে পুলিশ। এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ একটি মৃত্যু ঘিরে এতটা উত্তপ্ত হল কেন ইমানুয়েল ম্যাক্রর দেশ? কে এই নাহেল এম? কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভ? না কি জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে ফ্রান্স?
মঙ্গলবার ফ্রান্সের নঁতের অঞ্চলে ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ১৭ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নাহেলকে গুলি করে পুলিশ। কিশোর পালানোর চেষ্টা করলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে গুলি করেন এক পুলিশকর্মী, এমনটাই অভিযোগ। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স। নিম্ন-আয়সম্পন্ন বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের মানুষের বহু দিন ধরে পুলিশি কর্মকাণ্ড এবং জাতি বিদ্বেষ নিয়ে ক্ষোভ এই মৃত্যুতে আগ্নেয়গিরির মতো ফেটে পড়েছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: জাতি-বর্ণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি নিষিদ্ধ আমেরিকায়, সুপ্রিম নির্দেশে ক্ষুব্ধ বাইডেন]
নাহেল ন্যান্তেরে শহরতলির বাসিন্দা। সেখানকার মেয়র জানিয়েছেন, শনিবার নাহেলকে কবর দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় নাহেল এম নামের যুবকের পদবী কী? পরিবারও একথা প্রকাশ্যে আনেনি। ডেলিভারি ড্রাইভার হিসেবে গত তিন বছর কাজ করছিল সে। মৃত কিশোরের মায়ের নাম মৌনিয়া। তাঁর একমাত্র সন্তান নাহেল। মৌনিয়ার দাবি, নাহেলকে আরবদের মতো দেখতে বলেই তাঁর প্রাণ নিয়েছে গোরা পুলিশ আধিকারিক। অর্থাৎ নাহেলের মৃত্যু ঘিরে একদিকে যেমন কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষের প্রসঙ্গ উঠছে, তেমনই জাত এবং ধর্ম নিয়েও দাঙ্গা বেধেছে কিনা, তাও এক প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: ‘কবিতার দেশে’ পুড়ল গ্রন্থাগার, চারদিন ধরে দাঙ্গার আগুনে পুড়ছে ফ্রান্স]
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সামিট ছেড়ে দ্রুত দেশে ফিরেছেন ম্যাক্র। ফিরেই জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, কিশোরের মৃত্যুতে যে রাজনীতি হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। হিংসা নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।