সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে গত একমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে নাইজেরিয়া (Nigeria)
। মূলত ডাকাতি ও রাহাজানির মোকাবিলা নিযুক্ত সার্স বাহিনীকে ভেঙে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন যুবক-যুবতীরা। তাঁদের আন্দোলন থামানোর জন্য সরকার কঠোর দমনপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে যখন উত্তেজনা চরমে উঠেছে ঠিক তখনই ইডো প্রদেশের একটি এলাকায় দুটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফলে মৃত্যু হল দুই পুলিশকর্মী-সহ কমপক্ষে ১৮ জনের। জখমও হয়েছেন অনেকে। বর্তমানে সংঘর্ষ থামলেও ঘটনাস্থলে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নাইজেরিয়ার ইডো (Edo) প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদের দখল কাদের হাতে থাকবে তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এর ফলে প্রতিবছরই অনেক মানুষ প্রাণ হারান। শনিবার সেই রকমই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল ইডো প্রদেশে বেনিন এলাকায়। এর ফলে দুই পুলিশকর্মী-সহ কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। খবর পেয়ে সরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এখনও সেখানে উত্তেজনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতের বিরোধিতা উপেক্ষা করেই বিতর্কিত গিলগিট-বালটিস্তানে নির্বাচন করাচ্ছে পাকিস্তান]
অন্যদিকে শনিবারই মধ্য নাইজেরিয়ার নিগার প্রদেশের শিরোরো ও রাফি এলাকায় হামলা চালিয়ে ২৫ জন মানুষকে অপহরণ করেছে অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিরা। অনেককে গুলি চালিয়ে জখমও করেছে। ওই জঙ্গিদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এপ্রসঙ্গে রবিবার নিগার প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র ওয়াসিউ আবিওদুন জানান, শনিবার আচমকা শিরোরো ও রাফি এলাকায় মোটরবাইক নিয়ে হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের একদল জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে একাধিকজনকে জখম করার সঙ্গে সঙ্গে ২৫ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার করা যায়নি অপহৃতদেরও।