সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের মৃত ভারতের শত্রু আরও এক সন্ত্রাসবাদী। ১৯৮১ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স বিমান অপহরণের মূল চক্রী ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি গাজিন্দর সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের এক হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৪ বছর বয়সি গজিন্দরের।
খালিস্তানের সমর্থক জঙ্গি সংগঠন 'দল খালসা'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা গাজিন্দর সিং (Gajinder Singh) ছিল কুখ্যাত জঙ্গি। ১৯৮১ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের (Indian airlines) বিমান IC-423 বিমান অপহরণে ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম ছিল এই জঙ্গি। বিমানটি শ্রীনগর থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। মাঝ আকাশেই বিমানটি অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোরে। যাত্রীদের পণবন্দী করে ভারতীয় জেলে বন্দী একাধিক খালিস্তানি জঙ্গির মুক্তির দাবি জানানো হয় ভারত সরকারের কাছে। সেই ঘটনার পর পাকিস্তানের লাহোরে গিয়ে আশ্রয় নেই এই কুখ্যাত অপরাধী। যদিও ভারত সরকারের চাপে পাকিস্তান গ্রেপ্তার করে গজিন্দর ও তার সহযোগী তেজিন্দর, সতনাম, করণ ও দলবীর সিংদের। পাক আদালতে ১৪ বছরের সাজা হয় তাদের। এর পর ১৯৯৪ সালে পাক সরকারের তরফে মুক্তি দেওয়া হয় গাজিন্দর ও তার সহযোগীদের।
[আরও পড়ুন: এলোপাথাড়ি তলোয়ারের কোপ! রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেন রক্তাক্ত শিব সেনা নেতা]
মুক্তির পর তেজিন্দর ও সতনাম ভারতে ফিরে আসে। অন্যদিকে, দলবীর ও করণ সুইৎজারল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করে। গাজিন্দর পাকিস্তানে (Pakistan) থেকে ১৯৯৬ সালে জার্মানি গিয়ে সেখানে আশ্রয়ের দাবি জানায়। তবে ভারত সরকারের আপত্তিতে সেখানে আশ্রয় মেলেনি। এর পর ফের পাকিস্তানে ফিরে আসে গাজিন্দর। ভারত সরকারের তরফে পাকিস্তানের কাছে তাকে প্রত্যার্পণের আর্জি জানানো হলেও পাকিস্তান স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাদের দেশে নেই গাজিন্দর। যদিও ২০২২ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এই গুরুদ্বার থেকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই জঙ্গিকে। এর পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক চরমে ওঠে।
[আরও পড়ুন: হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে এবার বন্যার প্রকোপ, ঘরছাড়া অন্তত ২০ হাজার]
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ভারত সরকারের তরফে ২০ জন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকা প্রকাশ করা হয় সেই তালিকায় নাম ছিল এই গাজিন্দরের। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এনেছে গাজিন্দরের পুত্র বিক্রমজিৎ কৌর। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের বাসিন্দা।