সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীকে জেলের মধ্যেই পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। কুখ্যাত 'ব্ল্যাক ফ্রাইডে'র দিন লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল মুন্না আলিয়াস মহম্মদ আলি খান ওরফে মনোজ কুমার ভওয়রলাল গুপ্তা। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মুন্নার উপর হামলা চালায় পাঁচ জন বন্দি। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার।
মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কলম্বা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিল মুন্না। মুম্বই হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আর তিন জঙ্গি সাজা কাটাচ্ছে সেখানে। নিরাপত্তার খাতিরে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা সেলেই রাখা হত এই জঙ্গিদের। তার পরেও কীভাবে এবং কেন মুন্নার উপর হামলা করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডিআইজি (জেল) স্বাতী সাথে জানিয়েছেন, পুরনো শত্রুতার জেরে হামলা হয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অবিলম্বে যমুনা রিভার বোর্ডের বৈঠকের নির্দেশ, দিল্লির জল সংকট মেটাতে আসরে সুপ্রিম কোর্ট]
১৯৯৩ সালে ১২ মার্চ মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত টাইগার মেননকে মুম্বই থেকে রায়গড়ে নিয়ে যান মুন্না। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, আরডিএক্স, গ্রেনেড, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতে সাহায্য করেছিলেন। ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। ২০১৩ সালে মুন্নাকে কলম্বা সংশোধোনাগারে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই অন্য বন্দিদের হামলায় প্রাণ গেল কুখ্যাত জঙ্গির।
[আরও পড়ুন: ছক্কা হাঁকিয়েই লুটিয়ে পড়লেন ব্যাটার, সতীর্থরা ছুটে গিয়ে দেখলেন সব শেষ!]
১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ‘কালো শুক্রবারে’ দেশের প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। মোট ১৩টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যাতে মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। আহত হন ৭১৩ জন। কেবল মুম্বই-ই নয়, গোটা দেশই কার্যত থরথরিয়ে উঠেছিল মৃত্যু-রক্ত-ধ্বংসের নারকীয় রূপ দেখে। আজও অধরা এই হামলার মূল চক্রীদের অনেকেই।