দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের বন্যপ্রাণ হত্যা। পূর্ণবয়স্ক হরিণকে মেরে তার মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠল দুজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে কুলতলির কৈখালি এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তোলা হয়।
বনদপ্তর মারফত কুলতলি থানায় খবর আসে, জঙ্গলে ঢুকে একটি হরিণকে হত্য়া করা হয়েছে। এরপর সেই মাংস কেটে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এরপরই রাতে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম সুন্দর নস্কর ও কানাই দাস। তাদের কাছ খেকে হরিণে চামড়াও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কারা এজলাসে ঢুকতে বাধা দেন? সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্তকরণের নির্দেশ বিচারপতি মান্থার]
বন্যপ্রাণী হত্যা ও তাদের মাংস বিক্রির ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার এধরনের ঘটনা ঘটেছে এ রাজ্যে। গত বছর মার্চ মাসে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল মালবাজার এলাকায়। মালবাজার মহকুমার নর্থ ইংডং এলাকায় একটি বাড়িতে সম্বর হরিণের মাংস রান্না হচ্ছিল। খবর পেয়ে গরুমারা নর্থ রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দে বনকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকার বাড়িটিতে হানা দেয়। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে ছিল গরুমারার প্রশিক্ষিত কুকুর আরল্যান্ড।
বাড়িটি ঢুকে বনকর্মীরা বুঝতে পারেন, গোপন সূত্রের মাধ্যমে সঠিক খবরই পেয়েছেন তাঁরা। কারণ, আধিকারিকরা পৌঁছে দেখেন ওই বাড়িটিতে হরিণের মাংস রান্না হচ্ছে। কিছু কাঁচা মাংসও দেখতে পান তাঁরা। বনকর্মীরা কাঁচা এবং রান্না করা মাংস বাজেয়াপ্ত করে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটকও করা হয়। আটক করে গরুমারা নর্থ রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।