রাজা দাস, বালুরঘাট: বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। ৫ দিন পর অবশেষে দণ্ডি কাণ্ডে পুলিশের জালে ২ তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার তাঁদের তোলা হয় বালুরঘাট আদালতে। তবে এদিনও কার্যত প্রায়শ্চিত্তের পক্ষেই সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। লিখলেন, “শুভেন্দু দলে ফিরতে চাইলে দণ্ডি নয়, কান ধরে ওঠ বোস করিয়ে দলে নেবেন। “
বিতর্কের সূত্রপাত গত ৬ এপ্রিল। রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভা জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগরে কয়েকজন মহিলা বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলে ছিলেন বলে দাবি করে বিজেপি। সেই ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তপনের জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগর থেকে শুক্রবার বালুরঘাট শহরে আসেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা। তাঁরা বেশ কিছুটা রাস্তা দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে যান। সেখানে তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এসএফআইয়ের বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল, উঠল স্লোগান]
দণ্ডির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই দানা বাধে বিতর্ক। কড়া পদক্ষেপ করে তৃণমূল। পদ থেকে অপসারিত করা হয় জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। বিজেপি ঘোটা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে। গত সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লেখেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন। জাতীয় ST কমিশনেও চিঠি লিখে অভিযোগ জানান। ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় ST কমিশন। এই পরিস্থিতিতে গতকাল অর্থাৎ বুধবার গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস ও আনন্দ রায়। তাঁদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।