বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ঝড় উঠতে চলেছে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে। বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠকের ঠিক পরেই বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) শুরু হবে। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা, দিল্লি সংক্রান্ত অধ্যাদেশ থেকে শুরু করে মণিপুরের হিংসার মতো বিষয় নিয়ে উজ্জীবিত বিরোধীরা যে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চেপে ধরবেন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে মণিপুরের হিংসা নিয়ে বিরোধীরা বাদল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করতে চলেছেন বলেই সূত্রের খবর। বিষয়টি বুঝে পালটা রণকৌশল সাজাচ্ছে সরকারপক্ষও।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সংসদের সচিবালয় থেকে বাদল অধিবেশনের কাজের তালিকায় সরকারের তরফে এবারে মোট ৩২টি বিল আনা হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে নতুন বিল আসতে চলেছে ২১টি। তাতে দিল্লি সংক্রান্ত অধ্যাদেশকে বিল আকারে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে তথ্য সুরক্ষা বিল, জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন (সংশোধনী) বিলগুলি রয়েছে। এর মধ্যে তথ্য সুরক্ষা বিলটিকে পাশ করানোর উপর সরকারপক্ষ তথা বিজেপি জোর দিচ্ছে এবং কীভাবে তা পাশ করানো যায় সেই রণকৌশল তৈরি করছে বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: যমুনার জল লালকেল্লায়! দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ, ফ্রান্স থেকে শাহকে ফোন মোদির]
বিলের তালিকায় অবশ্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) সংক্রান্ত কোনও বিল নেই। সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মুখ খোলার পর থেকেই সরকার বাদল অধিবেশনে বিল আনতে পারে বলে জল্পনা ছিল। কিন্তু সরকার তাড়াহুড়ো করে এই বিল আনতে চাইছে না। বরং আরও একটু জল মেপে নিতে চাইছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
অধিবেশনের আগের দিন ১৯ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ১৮ আগস্ট রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ও রাজ্যসভার দলনেতাদের সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন। দুই বৈঠকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি হাজির থাকতে পারবেন না। তৃণমূল সাংসদরা ২১ জুলাইয়ের পরেই বাদল অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।