অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বারাকপুর শিল্পাঞ্চল। এবারের ঘটনাস্থল বীজপুর থানার কাঁচরাপাড়া সুবোধ রায় সরণির মণ্ডলবাজার এলাকা। রবিবার দুপুরে বোমা ফেটে জখম হলেন দুজন শ্রমিক। একজনের উড়ল হাত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে বীজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, সাংসদ অর্জুন সিং ও স্থানীয় কাউন্সিলর।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোহা-টিন-ভাঙার ব্যবসা করেন চন্দন রায়। কাঁচরাপাড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবোধ রায় সরণির মণ্ডলবাজার এলাকায় তাঁর বাড়ির পাশেই গোডাউন রয়েছে। বিধান এবং সঞ্জয় নিয়মিত সেখানে লোহা-টিন ভাঙা ফেরি করতে আসেন। এদিনও তারা আনুমানিক বেলা বারোটার সময় এসেছিলেন। অন্যান্য দিনের মত এদিনও বিক্রির আগে দুজন ভাঙা জিনিস বাছাই করছিলেন। তখনই একটি টিনের বাক্স খুলতে গিয়ে পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। সঞ্জয় অধিকারীর ডান হাতের পাঞ্জা থেকে উড়ে যায়। বিধান দাসও গুরুতর জখম হন। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় কল্যাণীর জেএনএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: বিয়ে করতে টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট, ৫ দিন পর সর্ষে খেতে মিলল স্কুল ছাত্রীর নিথর দেহ]
এদিনের ঘটনায় আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা। গোডাউন মালিক ব্যবসায়ী চন্দন রায় বলেন, “ঘটনার সময় ছিলাম না। স্ত্রীর কাছে খবর পেয়ে এসে দেখি দুজন শ্রমিক জখম হয়েছেন। তিনটি বোমা ফেটেছে।” দিনের বেলার পর পর বোমা বিস্ফোরণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলের অদূরেই রয়েছে একটি স্কুল। এদিন রবিবার হওয়ায় স্কুল বন্ধ ছিল। না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার জানান, স্কুল ছাড়াও এই এলাকায় অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আছে। তারা খেলাধুলা করে। তাই এলাকাবাসীর আতঙ্কে থাকাটাই স্বাভাবিক। পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া জানান, “তদন্ত শুরু হয়েছে। জখমদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তারা যেখান থেকে স্ক্র্যাপ নিয়ে এসেছিল সেই স্থান চিহ্নিত করা গিয়েছে।”