নিরুফা খাতুন: মানবপাচার চক্রের সন্ধানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালাচ্ছে NIA। এর মাঝেই শহর থেকে গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। পুলিশের সন্দেহ দুই যুবক কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকতে পারে। উৎসবের মরশুমে শহরে তাঁদের নাশকতার কোনও ছক ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উৎসবের মরশুমে শহরে কড়া নজরদারি চলছে পুলিশের। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আটক করা হচ্ছে। শনিবার দুজনকে যুবককে পার্কস্ট্রিট চত্বরে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানতে পারেন দুই যুবক বাংলাদেশি। যুবকদের কাছে পাসপোর্ট ও ভিসা কিছুই ছিল না। এরপরই পার্কস্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় দুজনকে।
[আরও পড়ুন: যারা রামকে খুঁজে পেয়েছে, তারাই পালন করবে দীপাবলি! কেন বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী?]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ আরমান হোসেন ও মহম্মদ আবু তাহের। আরমান বরিশালের বাসিন্দা। তাহের ঢাকার। ভিসা, পাসপোর্ট ছাড়া তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে শহরে প্রবেশ করেছেন। কীভাবে তাঁরা অনুপ্রবেশ করেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। এদিন ধৃত দুজনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দেন।
উৎসবের সময় শহরে বহিরাগতদের ভিড় থাকে। এই সময় নাশকতার সম্ভাবনা তাই বেশি থাকে। কোচির ঘটনার পর লালবাজার থানাগুলিকে তাই আগাম সতর্ক করে রেখেছে। এমন সময় বাংলাদেশের দুই অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তারের পর শহরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্য শহরে রেইকি করতেও আসতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। দুই যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা বা রাজ্যে কাদের সঙ্গে তঁাদের যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।