রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বাংলাদেশি যুবককে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ। ওই যুবক ও আশ্রয়দাতাকে গ্রেপ্তার করল নদিয়ার তেহট্ট থানার পুলিশ। দুজনকেই পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আশ্রয়দাতা এবং ওই যুবকের মধ্যে কী সম্পর্ক, কীভাবে এবং কেনই বা সে ভারতে এসে আশ্রয় নিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় নদিয়া তেহট্ট থানার বক্সিপুরের বাসিন্দা মুকুল শেখের বাড়িতে বাংলাদেশি কোনও যুবক আশ্রয় নিয়েছে। এই বক্সিপুর একেবারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি। রবিবার সকালে তেহট্ট থানার আইসি অভিজিৎ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, মুকুল শেখের বাড়িতে ঢুকে আরও এক যুবককে দেখা যায়। জানা যায়, ওই যুবকের নাম শাহিন খান। বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেই যুবকের কাছে ভারতে আসার কোনও বৈধ পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। শাহিন যে বাংলাদেশ থেকে চাপড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবেই ভারতে প্রবেশ করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ডিগবাজি প্রলয় পালের! ‘বিজেপি ছাড়ছি না’, অবস্থান স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা]
কিন্তু এই ঘটনার পর অজস্র প্রশ্ন দানা বাঁধছে। সীমান্তে কাঁটাতার পেরিয়ে নানা সামগ্রী পাচারের ঘটনা একাধিকবার সামনে এসেছে। তার উপর কিছু দিন আগে তেহট্ট থানার মৃগী ও বেতাইয়ে তেহট্ট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভাশিস মজুমদার অভিযান চালিয়ে জাল নথি-সহ দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকেও একাধিক জাল নথি পাওয়া গিয়েছে। ঠিক কী কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এল সে, তা এখনও জানা যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ কৃশানু রায় বলেন, “শাহিন কীভাবে বাংলায় আসল, কারা জড়িত, এমনকি জাল নথি চক্রের সঙ্গে তার কোন যোগ আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”