সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বদলার আগুনে নিভতে চলেছে। শত চেষ্টার পর মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) প্রতিশোধকামী বানর সেনার দুই সেনানীকে আটক করল বনদপ্তরের কর্মীরা। বিদ জেলার মজলগাঁও থেকে তাদের নাগপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। বাকি বাঁদরদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বনদপ্তর।
বিদ জেলার বন আধিকারিক শচীন কান্ড জানান, মজলগাঁও হামলা চালানো বাঁদর বাহিনীর দুই সদস্যকে ধরা গিয়েছে। তাদের নাগপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, এবার বাঁদরের তাণ্ডব কিছুটা হলেও কমবে।
[আরও পড়ুন: ‘ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজে যৌন দৃশ্যে অভিনয়ের জেরেই সামান্তার ডিভোর্স! জল্পনা তুঙ্গে]
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিদ জেলার মজলগাঁও এলাকা। সেখান থেকে আর ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে লাভুল গ্রামে। যেখানে গত এক মাসে খুন হয়েছে অন্তত ২৫০টি সারমেয় শাবক (Puppy)। উঁচু জায়গা থেকে ছুড়ে ফেলে কুকুর ছানাগুলিকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে একদল বাঁদর। বনদপ্তরও এই হত্যালীলা বন্ধ করতে পারেনি। বরং বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কেন এমনটা করছিল বাঁদরের দল?
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ঘটনার সূত্রপাত মাস খানেক আগে। এলাকার একদল কুকুর একটি বাঁদর ছানাকে হত্যা করেছিল। তার পর থেকেই এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঁদরের দলটি। রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছিল তারা। এলাকায় কুকুর শাবক দেখলেই তুলে নিয়ে যাচ্ছিল এবং উঁচু জায়গা থেকে আছড়ে ফেলা হচ্ছিল তাদের। ইতিমধ্যে অন্তত ২৫০ ‘খুন’ করে ফেলেছে তারা। বাঁদরের দলের তাণ্ডবে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসী। অবশেষে বনদপ্তরের চেষ্টায় দুই ‘খুনি’কে আটক করল বনদপ্তর।