সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ দিনের মধ্যে ফের হামলা ইরাকের (Iraq Air Base) মার্কিন বিমানঘাঁটিতে। হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরাকের সেনাবাহিনী। যদিও কোনও হতাহতের খবর নেই। এই ঘটনার পরই বাগদাদের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার সকালে হামলা চালানো হয় বলে খবর। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে খবর, সি-র্যাম রকেটের মাধ্যমে একটি রকেট ধ্বংস করা হয়েছে। এরপরই মর্টার দিয়ে ইরাকের মার্কিন বাহিনীকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। রকেট অ্যান্টি সেপেটরের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠনই। যদিও হামলার পিছনে ইরানের মদত রয়েছে বলেই দাবি করেছে ওয়াশিংটন। একে্র পর এক এই ধরনের ঘটনা নতুন করে তিক্ততা বাড়াচ্ছে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে।
[আরও পড়ুন: মায়ানমারে শুরু গৃহযুদ্ধ! সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক বিদ্রোহীদের]
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথগ্রহণের পর থেকে ইরাকে থাকা আমেরিকার সেনা-সম্পত্তির উপর হামলা বেড়েছে। গত কয়েক মাসে অন্তত ৩০বার হামলা হয়েছে মার্কিনি সেনা, দূতাবাসের উপর। এমনকী, আমেরিকা থেকে ইরাকের জন্য আসা পণ্য সরবরাহের গাড়িতেও হামলা চালিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি।
এমনকী, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিতে ইরান ও আমেরিকার বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকে এখনও মার্কিন সামরিক বাহিনীর আড়াই হাজার ট্রুপ রয়েছে। গত সপ্তাহে বাগদাদ বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে তিনটি রকেট হামলা হয়েছে। এই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইরাকি বাহিনী। হামলায় একজন ইরাকি সেনা আহত হন। একের পর এক হামলা নিয়ে ইরানকে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে আমেরিকা। তবু হুঁশ ফেরেনি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই ধরনের চোরাগোপ্তা হামলার জেরে আমেরিকা-ইরান সম্পর্কের আরও অবনতি হচ্ছে।