রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বিয়েও করতে চেয়েছিল। কিন্তু পাত্র-পাত্রী দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক, বাড়ি থেকে এখনই বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই একই গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল নাবালক এবং নাবালিকা। বৃহস্পতিবার সকালে দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমেছে নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট থানা এলাকায়।
তেহট্টের নাতনা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সজল মণ্ডল। দেবনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বিজয়া বিশ্বাস। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল তারা। বিয়েও করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছেলেমেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই বিয়ে দিতে রাজি হয়নি পরিবার। তাদের আশঙ্কা ছিল, এখন দুজনের বিয়ে দিলে আইনি ঝঞ্ঝাটে জড়াতে হবে। এদিকে একে অপরকে ছেড়ে থাকতে রাজি ছিল না কেউ। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নিল তারা।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় জনসংযোগে জোর তৃণমূলের, পাড়ার ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে নির্দেশ অভিষেকের]
এদিকে সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর তেহট্ট এলাকার দুই পরিবার। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। সন্তান হারিয়ে তাদের বিলাপ, আইনের কথা না ভেবে সন্তানদের আবদার মেনে নিলেই পারতাম। তাহলে কোলের সন্তানদের হারাতে হত না।