মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ২৬/১১ হামলার পর একযুগ কেটে গিয়েছে। আবার সেই একই দিনে কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা (Terrorist)। বৃহস্পতিবার দুপুরের হামলায় দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে খবর।
ফের চেনা ছকেই হামলা চালাল জেহাদিরা। তবে এবার আর ফাঁকা এলাকায় নয়। শ্রীনগরের (Srinagar) অবন শাহ চকের মতো ভিড়ে ঠাসা এলাকায় নিরাপত্তবাহিনীর জওয়ানদের নিশানা করল তারা। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে একটি মারুতি গাড়ি চেপে তিনজন জেহাদি এলাকায় আসে। কুইক রেসপনস টিমের সদস্যদের নিশানা করে। এলোপাথারি গুলি চালায়। ভিড়ে ঠাসা এলাকায় পালটা গুলি ছুঁড়তে পারেনি জওয়ানরা। তবে গাড়ি নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। কাউকে আটক করা যায়নি।
[আরও পড়ুন : জাতীয় পতাকায় অশোক চক্রের জায়গায় ইসলামিক হরফ, গুজরাটে গ্রেপ্তার ৪]
দুই জওয়ান গুরুতর জখম হন। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত্যু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তবাহিনী। চলছে তল্লাশি। জঙ্গিরা কোন দিক থেকে এসেছে, তাদের কেউ সাহায্য করেছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্ধের মধ্যে হামলা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে পুলিশের তরফ জানানো হয়েছে।
কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানান, “এই এলাকায় জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠী সক্রিয়। তারাই এই হামলা চালিয়েছে। তবে হামলাকারী তিন জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে তারা। সন্ধের মধ্যে হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হবে। এদের মধ্যে ২ জন পাকিস্তানি ও একজন স্থানীয় জেহাদি রয়েছে।”
[আরও পড়ুন : ‘এক যুগ কেটে গেলেও ক্ষত এখনও দগদগে’, ২৬/১১ মুম্বই হামলার স্মৃতিচারণা প্রধানমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য,গত ১৯ নভেম্বর ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল করেছেন। জঙ্গিদের কাছ থেকে পাকিস্তানের নাগরিক হওয়ার সমস্ত নথিও মিলেছিল। সাম্বা সেক্টরে ১৫০ মিটারের গোপন সুড়ঙ্গও মেলে। যেখান দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করেছিল। ছক ছিল, ২৬/১১-এর কায়দায় বড়সড় হামলা চালানো। কিন্ত সেনার তৎপরতায় তা বানচাল হয়ে যায়।