অর্ক দে ও বিপ্লবচন্দ্র দত্ত: ভোট মিটতেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমান। দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বিজেপির এক মহিলা কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পৃথক দু’টি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলের সমর্থকরা। জেলায় জেলায় এই অশান্তির মাঝেই মঙ্গলবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নাড্ডা।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে বিজয় মিছিল করছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মিছিলে থাকা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। গুরুতর জখম হন তিনজন। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান। অন্যদিকে এদিনই ওই এলাকার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। কুপিয়ে খুন করা হয় মহিলাকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁর স্বামী ও দেওরকে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর পর বঙ্কিম ঘোষ, জয়ী হওয়ার পরই হামলার মুখে চাকদহের বিজেপি প্রার্থী]
অন্যদিকে গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাত দশটা নাগাদ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন নদিয়ার গাংনাপুরের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী উত্তম ঘোষ। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী প্রথমে বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। কোনওক্রমে পালিয়ে পাশে একটি টিনের ঘরে লুকিয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাকে ওই ঘর থেকে টেনে বার করে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। চিৎকার শুনে তাঁকে বাঁচাতে যান তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। কিন্তু লাভ হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। রাজ্যে একের পর এক বিরোধীদের উপর হামলার ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।