দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পেটের তাগিদে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে। সেখানেই দক্ষিণরায়ের কবলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতলির মৎস্যজীবী। কিন্তু কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে! বাঘের সঙ্গে লড়াই করে মৎস্যজীবীকে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনলেন দুই সঙ্গী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
স্থানীয় মানুষ জানান, কুলতলির (Kultali) গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারি বাজার নস্কর পাড়ার বাসিন্দা লখাই নস্কর। বয়স ৪২ বছর। গত সোমবার লক্ষ্মণ সরদার ও সুজিত নস্কর নামে দুজনের সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের জঙ্গলে যান। বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার আগে ঘটে দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই লখাইকে দেখে তেড়ে যায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার। হামলা চালায় মৎস্যজীবীদের উপর। লখাই নস্করের ঘাড়ে কামড় বসায় দক্ষিণরায়। তাঁকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
[আরও পড়ুন: ডাইনি অপবাদ দিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দাবি! ‘একঘরে’ বাঁকুড়ার পরিবারে]
সেই সময় লখাইকে বাঁচাতে দুই সঙ্গী লক্ষ্মন ও সুজিত লাঠি ও বৈঠা নিয়ে রুখে দাঁড়ান বাঘের সামনে। কোনওরকমে বাঘের মুখ থেকে লখাইকে উদ্ধার করেন তাঁরা। আহত অবস্থায় সঙ্গীকে নৌকোয় তুলে দ্রুত নিয়ে আসে কৈখালী ঘাটে। সেখান থেকে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত মৎস্যজীবীকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত মৎস্যজীবীকে পাঠানো হয়েছে কলকাতার পি জি হাসপাতালে।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৎস্যজীবীদের বৈধ অনুমতি পত্র ছিল বলেই দাবি করেন তাঁরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান হয়েছে। অন্যদিকে, কুলতলির মৈপীঠ কোষ্টাল থানার কিশোরী মোহনপুরে বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বুধবার রাতে ওই এলাকায় বাঘের গর্জন শোনা যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ গ্রামের ধারে বাঘকে ঘুরতে দেখা গেছে। ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।