বাবুল হক, মালদহ: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ যুবককে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি। চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী রইল মালদহ। ইতিমধ্যেই ওই যুবকদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।
বেশ কিছুদিন আগে ফোনের সূত্র ধরে এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় দুই বন্ধু জাহাঙ্গির আলম ও মাবুদ মোত্তাকিনের। দু’জনই মালদহের (Malda) মানিকচকের বাসিন্দা। কথা বলতে বলতে যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের পাঁচ তারিখ ওই দুই যুবককে সামসিতে ডেকে পাঠায় ওই মহিলা। এরপর থেকেই আর হদিশ মেলেনি জাহাঙ্গির ও মোত্তাকিনের। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলেও কোনও লাভ হয়নি। কোথাও হদিশ মেলেনি তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে ৫ তারিখ রাতেই অজানা নম্বর থেকে ফোন যায় ওই নিখোঁজ যুবকদের পরিবারে।
[আরও পড়ুন: Visva Bharati: হাই কোর্টে ধাক্কা বিশ্বভারতীর, সাসপেন্ড হওয়া ৩ পড়ুয়াকে ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ]
জানা গিয়েছে, ফোনে কখনও ওই যুবকদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মু্ক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয় তিন লক্ষ টাকা, কখনও ২ লক্ষ টাকা, আবার কখনও ৯০ হাজার। কী করবেন বুঝতে না পেরে ৬ তারিখ পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।আইসি অক্ষয় পালের নির্দেশ অনুযায়ী শুরু হয় তল্লাশি। মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তদন্তকারীরা জানতে পারে জাহাঙ্গিররা চাঁচোলে রয়েছেন। এরপর ছদ্মবেশে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে অভিযুক্তদের কাছে যান তদন্তকারীরা। হাতে নাতে ধরে ফেলেন অভিযুক্তদের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। বুধবার ধৃতদের তোলা হয়েছে মালদহ আদালতে। অপহরণ কাণ্ডে জড়িত বাকিদের খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা আদায়ের ছক কষে জাহাঙ্গির ও মোত্তাকিনকে অপহরণের ছক কষে অভিযুক্তরা। জোসনারা খাতুন নামে এক যুবতী ফোনে কথা বলত ওই যুবকদের সঙ্গে। সেই সামসিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ওই যুবকদের। কিন্তু অপহরণের পর এক যুবক ফোন করেছিল অপহৃতদের পরিবারকে। অর্থাৎ পরিকল্পনা করেই যে এই অপহরণ করা হয়েছিল প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত পুলিশ।