সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোররাতে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের দক্ষিণ অংশ (Southern Pakistan)। ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতদের মধ্যে ৬ জন শিশু রয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, জখম হয়েছেন ২০০ জন। নিখোঁজ বহু। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য। তবে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হারনাই (Harnai) এলাকার পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় উদ্ধারকাজে দেরি হচ্ছে বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ জোরাল কম্পন অনুভূত হয় দক্ষিণ পাকিস্তানের বালোচিস্তানের (Balochistan) অন্তগর্ত হারনাই শহর। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন গোটা শহর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িগুলির ছাদ-দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। কেউ কেউ সেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তাঁদের হাত-পায়ে চোট মারাত্মক। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেডে় দেওয়া হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে।
[আরও পড়ুন: সংঘাত ঠেকাতে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান বাইডেন]
এদিন বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়াত্তা শহরেও কম্পন অনুভূত হয়। পাকিস্তানের সেসমোলজি বিভাগ সূত্রে খবর, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। মার্কিন ভূকম্পন বিশেষজ্ঞ বিভাগ জানাচ্ছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৭। উৎসস্থল ছিল হারনাই এলাকার ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে।
[আরও পড়ুন: Corovavirus: করোনায় একদিনে মৃত্যু ৯২৯ জনের! পরবর্তী হটস্পট কি রাশিয়া?]
জোরাল কম্পনের জেরে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে গোটা এলাকা। হারনাই শহরটি এমনিতেই দুর্গম পার্বত্য এলাকা। উপরন্তু একেবারে অনুন্নত। রাস্তাঘাট, বিদ্যুতের পরিকাঠামোও ভাল নয়। জোরাল কম্পনের জেরে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। হারনাইয়ের সরকারি হাসপাতালের এক শীর্ষ আধিকারিক জাহুর তারিন জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাসপাতালে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইন এবং ব্যাটারিচালিত টর্চ জ্বালিয়ে চলছে চিকিৎসা। এদিকে মোবাইলের টাওয়ার উপড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা। রাস্তাঘাট না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও।