shono
Advertisement

২০০ ঘণ্টায় ৩০০ বৈঠক, জি-২০-তে যুদ্ধবিরোধী ঘোষণাপত্রের নেপথ্যে এই ৫ কূটনৈতিক

সদস্য দেশগুলির সম্মতিতেই প্রকাশ করা হয় এই যুদ্ধবিরোধী ঘোষণাপত্র।
Posted: 04:31 PM Sep 10, 2023Updated: 04:31 PM Sep 10, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০ ঘণ্টা ধরে আলোচনা। অন্তত ৩০০টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ভারতীয় কূটনৈতিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল মিলেছে জি-২০ (G-20) সম্মেলনে। ভারতীয় শেরপা অমিতাভ কান্তের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দল মিলে অন্তত ১৫ বার দিল্লি ঘোষণাপত্রের খসড়া বানিয়েছেন। তারপরেই সদস্য দেশগুলির সম্মতিতে প্রকাশ করা হয়েছে যুদ্ধবিরোধী ঘোষণাপত্র। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই ঘোষণা পত্রকে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আগ্রাসনের নিন্দা করে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে জি-২০ সম্মেলনে। ভারতের কূটনৈতিক জয় বলেই এই বিষয়টিকে দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল। জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই দিল্লি ঘোষণাপত্রে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে সেদেশের ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালানো- একাধিক বিষয়ের নিন্দা করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি এই ঘোষণাপত্রে। জি-২০র সমস্ত দেশই এই ঘোষণাপত্রে সম্মতি দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: গাড়ি চালানো শেখার সময় শিশুকে পিষে দিল যুবক, রণক্ষেত্র ময়নাগুড়ি]

এই ঘোষণাপত্র প্রকাশের পরেই এক্স প্ল্যাটফর্মে সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের শেরপা। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি ইনাম গম্ভীর ও কে নাগরাজ নায়ডুর সাহায্যেই সমস্ত দেশকে যুদ্ধ বিরোধী ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে রাজি করানো গিয়েছে। কান্ত জানিয়েছেন, “জি-২০তে সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়ে সদস্য দেশগুলিকে রাজি করানো। তার জন্য ২০০ ঘণ্টা ধরে টানা আলোচনা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে ৩০০টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। অন্তত ১৫ বার খসড়া বদল করা হয়েছে এই ঘোষণাপত্রের। আমার তরুণ অফিসাররা কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখিয়েছেন বলেই সফলভাবে এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা গিয়েছে।” প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলনে যেভাবে যুদ্ধবিরোধী বার্তা দেওয়া হয়েছে, তার প্রশংসা করেছে কংগ্রেসও।

[আরও পড়ুন: ‘কাজ কম, মাইনে বেশি, তাই টাকা দিয়ে শিক্ষকের চাকরি কেনা’, সৌগত রায়ের মন্তব্যে বিতর্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement