ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অফিস টাইমে যাত্রীদের চাপ বেশি। তাই সকাল ও সন্ধেয় হাওড়া-শিয়ালদহ মিলিয়ে মোট ২০০টি লোকাল ট্রেন (Local Train) প্রত্যেকদিন চালানো হতে পারে। বুধবার রাজ্যের এই প্রস্তাবে রাজি রেল। দিনের অন্য সময়ে ক’টা ট্রেন চলতে পারে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেল।
বুধবার নবান্নে রেল ও রাজ্যের দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়। সেখানে হাওড়া ও শিয়ালদহের কোন রুট দিয়ে রোজ কত যাত্রী কলকাতামুখী হন, তারও গড় সংখ্যা জানানো হয়েছে। কোন কোন স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে তারও পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন : জেলা সভাপতি ‘তৃণমূলের দালাল’, পূর্ব বর্ধমানে প্রকাশ্যেই কাদা ছোঁড়াছুড়ি বিজেপি নেতাদের]
ট্রেনে যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধিও। এদিন নবান্ন পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমনটাই ঠিক হয়েছে। বৈঠক এদিন রাজ্যের তরফের ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। মনে করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পরিষেবা শুরু করা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে কী পদ্ধতিতে ট্রেন চলবে, কখন কত ট্রেন চলবে এই গোটা সময় সারণি কাল চূড়ান্ত হতে পারে।
কবে থেকে, কীভাবে লোকাল ট্রেন চলবে তার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর নির্ধারণ নিয়ে এ দিন বৈঠক হয়। আরপিএফ সংখ্যা কত তা রেলের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে। এই সব বিবেচনা করেই আনলক ৫ পর্বে লোকাল ট্রেন সংখ্যা চূড়ান্ত হবে। স্থির হবে বিভিন্ন রুটের কোন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে। গ্যালপিং ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।