রাহুল রায়: বিপাকে ২০১৪ সালের টেট (TET 2014) উত্তীর্ণ আন্দোলকারীরা। মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আপাতত আর ধরনায় বসতে পারবেন না তাঁরা। কলকাতা হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। নতুন করে আর ধরনায় বসার অনুমতি আর দেওয়া হল না ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৫০ চাকরিপ্রার্থীদের।
নিয়োগ দাবিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) পদের চাকরিপ্রার্থীরা। ৫০ জন নতুন আন্দোলনকারীকে ধরনার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সময়সীমা পার হওয়ার পর ফের জয়েন্ট কমিশনারের কোনও অনুমতি না পাওয়ায় আদালতের দারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে বিভক্ত সুপ্রিম কোর্ট, মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে]
এর আগে পাঁচদিনের জন্য ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই নতুন করে ধরনার অনুমতি মিলবে না। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্য সিঙ্গল বেঞ্চ।
পূর্বতন বাম সরকারের আমলে ২০০৯ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে সেই নিয়োগ বাতিল করে। ২০১৪ সালে নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রত্যন্ত জেলাগুলির নিয়োগ হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নিয়োগ আটকে যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেলই প্রকাশিত হয়নি। ১৩ বছর ধরে নিয়োগের আশায় বসে রয়েছেন তাঁরা। নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘দলে এখন দু’টো শ্রেণি-বাবু ও চাকর’, বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে ‘অভিমানী’ TMC বিধায়ক]
দিন কয়েক আগেই মেয়ো রোডের সেই ধরনা মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক চাকরিপ্রার্থী। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, তিনদিন আগেও ধরনামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এদিকে, এদিন মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের তরফে সোমনাথ নস্করদের বক্তব্য ছিল, আদালতের নির্দেশে তাঁদের আবেদন মেনে আগেই অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো তাঁরা সেখানে অবস্থান বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। আবার নতুন করে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাঁদের আবেদন খারিজ করুক আদালত। তথ্য দিয়ে রাজ্য জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে নতুন করে পুলিশের কাছে আবেদন করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে অবস্থানের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন দাখিল করেন চাকরিপ্রার্থীরা। ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ আন্দোলনকারীদের ৫ দিনের অবস্থানে বসার অনুমতি দেয়। এছাড়াও সেখানে বেশ কয়েকটি অবস্থান চলছে। তাই সেখানে জমায়েতের অনুমতি দিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।