সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিনে পড়েছে ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের আমরণ অনশন। তা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার থেকে চাকরির দাবিতে পথে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। এদিন সল্টলেকের ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে রাস্তায় বসে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।২ বার ইন্টারভিউ দেওয়া সত্ত্বেও কেন ফের ২০১৪ সালের প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পাবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বারবার টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউয়ে অংশ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের দাবি, অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে তাঁদের। সোমবার থেকে করুণাময়ীতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ২০১৪ সালের প্রার্থীরা। তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল করলেন ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীরা। এপিসি ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর এপিসি ভবনের অদূরে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। ৩০০ মিটার দূরত্বে বিক্ষোভে শামিল ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: উল্টোডাঙায় যকের ধন! ব্যবসায়ী আমির খানের সঙ্গীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ দেড় কোটি]
২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের কথায়, ২০১৪ সালের প্রার্থীরা দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাহলে কেন ফের তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ২০১৮ সালের টেট প্রার্থীরা অনৈতিকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে অভিযোগও করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এদিন বলেন, “২০১৪ সালের দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা (Partha Chatterjee) গ্রেপ্তার হওয়ায় প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই বছরেই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু একেবারেই তেমনটা নয়।” তাঁদের দাবি, পদ বাড়িয়ে প্রত্যেককে নিয়োগ করতে হবে।
এদিকে ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের ধরনায় বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার ফের আদালতে গিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের আইনজীবী বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস বন্ধ। আমরা সেখানে ঢুকতে পারছি না। সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। মামলা দ্রুত শোনা হোক।” দ্রুত মামলা শোনার আবেদন জানিয়েছেন জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষকের চাকরির ইন্টারভিউ সেখানে দিতে যাওয়া চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবীরাও। যদিও আদালত আজ শুনানির কোনও আশ্বাস দেয়নি বলেই খবর। তবে বেলা দুটোর পর সময় হলে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।