shono
Advertisement

Breaking News

Gujarat-এর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনবার চাকরির আবেদন, সাড়া না মেলায় দিনমজুর বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

করোনা আবহে সংসার চালাতে কঠিন পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
Posted: 03:53 PM Aug 09, 2021Updated: 04:39 PM Aug 09, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ সালে Blind Cricket World Cup-এ দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন দেশকে। দুবাইয়ে (Dubai) অনুষ্ঠিত ফাইনালে হারিয়েছিলেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে (Pakistan)। দুরন্ত পারফর্মও করেছিলেন। কিন্তু সেই ক্রিকেটারই ভুগছেন আর্থিক সংকটে। দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে তাঁকে। অথচ তিন-তিনবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েও মেলেনি সাহায্য। শুনতে অবাক লাগলেও দৃষ্টিহীন ক্রিকেটার নরেশ তুমডার এই খবর সামনে আসায় অনেকেই হতবাক।

Advertisement

সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে ভুগছেন গুজরাটের নবসারির বাসিন্দা নরেশ তুমডা। করোনার সময়ে আর্থিক অনটনের মধ্যে থাকায় বাজারে সবজি বিক্রি করেছেন। আর এখন দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। অথচ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহাই হয়নি। এই প্রসঙ্গে নরেশ জানিয়েছেন, “দিনমজুরের কাজ করে দৈনিক ২৫০ টাকা রোজগার করি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনবার চাকরির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। সরকারের কাছে একটাই আবেদন, আমাকে একটি চাকরি দেওয়া হোক, যাতে আমি পরিবারের খেয়াল রাখতে পারি।”

[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: নীরজের বায়োপিকের প্রস্তুতি বলিউডে! কী বললেন ‘সোনার ছেলে’?]

২৯ বছরের তুমডা গত বছরে লকডাউনের সময় সবজি বিক্রি করেছিলেন৷ কিন্তু এতে পরিবার প্রতিপালন করা সম্ভব হচ্ছিল না, তাই তাঁকে মজুরের কাজ করতে হচ্ছে৷ সেকথাও জানান তিনি। বলেন, “আমার মা -বাবা বৃদ্ধ, আমার বাবা কাজ করতে পারেন না৷পরিবারের একমাত্র সম্বল আমি৷ গত বছর জামালপুর বাজারে আমি সবজি বিক্রি করতাম৷ কিন্তু তাতে বেশি রোজগার হয় না৷ তাই এই দিনমজুরের কাজ বেছে নেওয়া।” ২০১৮ সালে ঐতিহাসিক ওই জয়ের পর ইতিহাস তৈরি করেছিল ভারতীয় দল৷ গোটা দেশ সমস্ত ক্রিকেটারদের প্রশংসা করেছিল৷ রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী সকলেই ক্রিকেটাদের প্রশংসা করেছিলেন৷ ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। মিলেছিল আশ্বাসও। কিন্তু সেগুলি যে কেবল মুখের কথা, নরেশের কাহিনিই তার প্রমাণ।

[আরও পড়ুন: লাল-হলুদ কর্তাদের উচিত অবিলম্বে চুক্তিপত্রে সই করা, ইনভেস্টরের হয়েই সুর চড়ালেন Bhaichung]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement