সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার সংস্কৃতি জগতে বেশ কয়েকবছর ধরে একটা অনন্য স্থান দখল করেছে মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। অ্যাওয়ার্ডস মানেই আর পাঁচটা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মতো কিন্তু নয়। বরং সেগুলি থেকে অনেকটাই আলাদা মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। বাংলার সংগীত জগতের সঙ্গে যুক্ত নবীন থেকে প্রবীণ প্রজন্মের কাছে তাই গ্রহণযোগ্যতায় এগিয়ে এই পুরস্কার অনুষ্ঠান। বরাবরের মতো এবারও বছরভর শ্রোতাদের পছন্দের বেশ কিছু গান এবং তাঁদের স্রষ্টাদের পুরস্কৃত করল মির্চি। সঙ্গে উপরি পাওনা হিসাবে ছিল হাসি-ঠাট্টা-গানের মিশেলে মনোরম সন্ধ্যা। টেলিভিশনের পর্দায় আর কিছুদিনের মধ্যেই দর্শকরা দেখতে পাবেন সংগীত জগতের সেরাদের। তবে তার আগে তাঁদের জন্য রইল এবছর মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে কারা বাজিমাত করলেন তাঁদের তালিকা। কোন গানই বা হল বছরের সেরা তাও থাকল এই প্রতিবেদনে।
এবছর চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা গানের পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘মনটা আহারে’ (আহারে মন)। সংগীতকার নীল দত্তর সুরে গানটি গেয়েছেন দুর্নিবার সাহা। সেরার দৌড়ে এই গান হারিয়ে দিয়েছে ‘হামি’, ‘জাগো উমা’, ‘এসো হে’র (এক যে ছিল রাজা) মতো জনপ্রিয় গানকে। ‘আহারে মন’, ‘উমা’-র মতো অ্যালবামকে টেক্কা দিয়ে ফিল্ম অ্যালবাম হিসেবে পুরস্কার জিতেছে ‘হামি’। প্লেব্যাকের জন্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পুরুষদের মধ্যে সেরা হয়েছেন তিমির বিশ্বাস। ‘ফ্ল্যাট নম্বর ৬০৯’ ছবির ‘কিছু কিছু কথা’ গানের জন্য সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। এই বিভাগে দুর্নিবার সাহা, গৌতম দাস বাউলের মতো গায়কদের টেক্কা দিয়েছেন তিমির বিশ্বাস। মহিলাদের মধ্যে শ্রেয়া ঘোষালের (এসো হে) মতো গায়িকাকে পিছনে ফেলে সেরার পুরস্কার জিতেছেন অরুণা দাস। ‘হামি’ ছবির ‘খোলা টিফিন বক্স’ (স্যাড ভার্সন) গানটির জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। বছরের সেরা গীতিকারের পুরস্কার গিয়েছে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ঝুলিতে। ‘হামি’ ছবির ‘তুই যেভাবে’ গানটির জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। এই একই গানের জন্যই তিনি সেরা সুরকারের পুরস্কারও পেয়েছেন।
[ আরও পড়ুন: নূরের ভিসা বাতিল নিয়ে সরব মদন-কল্যাণ, সাফাই দিলীপের ]
প্রতিশ্রুতিমান গায়ক হিসেবে ‘সন্ধে নামার আগে’ গানটির জন্য পুরস্কার পেলেন ঈশান মিত্র। পালোমা মজুমদার প্রতিশ্রুতিমান গায়িকা হিসেবে ‘দৃষ্টিকোণ’ ছবির ‘লক্ষ্ণীটি’ গানটির জন্য সেরা বিবেচিত হয়েছেন। ‘মাইকেল’ ছবির ‘ঘরে ফেরার গান’-এর জন্য বছরের শ্রেষ্ঠ প্রতিশ্রুতিমান সুরকারের পুরস্কার পেয়েছেন ইন্দ্রজিৎ দে। বছরের সেরা প্রতিশ্রুতিমান গীতিকার হিসাবে ‘ফ্ল্যাট নম্বর ৬০৯’ ছবির ‘কিছু কিছু কথা’ গানের জন্য অম্বরীশ মজুমদার পুরস্কৃত হয়েছেন। সেরা রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম নির্বাচিত হয়েছে ‘এবং জয়তী’। ক্যাকটাস ব্যান্ডের ‘তবু ঠিক আছে’ অ্যালবামটি জিতে নেয় সেরা অ্যালবামের পুরস্কার। এছাড়াও বাংলা সংগীত জগতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত হন মুকুন্দ বিশ্বাস। জীবনকৃতি পুরস্কার দেওয়া হয় বাপ্পি লাহিড়ীকে।
আধুনিক গানের বিভাগে সেরা হয়েছে ‘বাদামি কফিন’। গানটি গেয়েছেন লগ্নজিতা ও দীপ্তার্ক। এই বিভাগে শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কার ‘কিছু দিন’ গানের জন্য এখানেও গিয়েছে তিমির বিশ্বাসের ঝুলিতেই। হৈমন্তী শুক্লা পেয়েছেন সেরা আধুনিক গায়িকার পুরস্কার (‘কখনও শান্ত নদী’ গানের জন্য)। ‘বাদামি কফিন’-এর জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতকারের পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্তার্ক। সৌমিক দাস পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (‘কিছু দিন’-এর জন্য) পুরস্কার।
মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের সন্ধ্যাকে আরও স্বর্ণালী করে তোলেন অনুপম রায়, উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়, অর্কপ্রভ মুখোপাধ্যায়, রাজ বর্মন এবং সর্বোপরি বাপ্পি লাহিড়ির মতো শিল্পীরা। স্বাভাবিক মজার ফুলঝুরি ছোটানোর জন্য মীরের সঞ্চালনা তো ছিলই। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, আবির চট্টোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
[ আরও পড়ুন: বাংলা ধারাবাহিকের রোবট বউমা তৃণা, নজর কাড়লেন প্রোমোয় ]
The post কাদের ঝুলিতে গেল মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস? দেখে নিন একনজরে appeared first on Sangbad Pratidin.