shono
Advertisement

ফিরে দেখা ২০২২: কার উত্থান, কার পতন? বছরভর কী ঘটল জাতীয় রাজনীতির ময়দানে?

বছরটা আঞ্চলিক দলগুলির জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
Posted: 02:51 PM Dec 23, 2022Updated: 06:55 PM Dec 23, 2022

বছর আসে বছর যায়। প্রতিবছরই রাজনীতির ময়দানে হাজারও পটপরিবর্তন ঘটে যায়। এদের কোনওটি তলিয়ে যায় কালের গর্ভে, আবার কোনও কোনও পরিবর্তন দেশীয় রাজনীতিতে চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলে যায়। অমোঘ হয়ে থাকে জনমানসে। বছর শেষে এমনই কিছু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আলোকপাত করছে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। যেগুলি গোটা বছর ছিল শিরোনামে।

Advertisement

গান্ধীদের হাতের বাইরে কংগ্রেস: ২০২২ সালের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনটি ঘটেছে কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে। বস্তুত শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। প্রায় ৩ দশক বাদে কোনও অ-গান্ধীকে বসানো হয়েছে কংগ্রেস সভাপতির পদে। আসলে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের হাতে দলের লাগাতার ব্যর্থতা এবং সেই সঙ্গে পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা, এই দুইয়ের ফাঁস থেকে বেরোতে চাইছিল কংগ্রেস। সেকারণেই নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হল দলের সভাপতি। নির্বাচনী লড়াইয়ে ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) এবং শশী থারুর। ভোটে থারুরকে অনায়াসে হারিয়ে দেশের প্রধান বিরোধী দলের ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নেন খাড়গে। সরকারিভাবে প্রায় ৩ দশকে প্রথমবার গান্ধীদের হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস।

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা: মাঠে নেমে আন্দোলন করে না কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জারিজুরি শুধুই সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বদনাম ঘোচাতে অবশেষে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিলেন রাহুল গান্ধী। বছরের শেষদিকে এসে তিনি শুরু করলেন সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ভারত জোড়ো যাত্রা।’ কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়ে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাব হয়ে এই যাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে (Kashmir)। কংগ্রেসের দাবি, ভারত জোড়ো যাত্রায় বিপুল সাড়া পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যেসব কংগ্রেস সমর্থকরা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন, তাঁরা আবার রাস্তায় নামছেন। শুধু তাই নয়, রাহুলের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিতেও ব্যাপক বদল এনেছে এই ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। অনেকেরই ধারণা ছিল, রাহুলের পক্ষে হেঁটে যাত্রা শেষ করা সম্ভব নয়। বিজেপি কটাক্ষ করছে, মাঝপথে যাত্রা ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে পারেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। সেসব কটাক্ষের জবাব দিয়ে কার্যত নিজের ‘পাপ্পু’ এবং ‘পার্ট টাইম রাজনীতিবিদ’ ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন কংগ্রেসের রাজপুত্র।

[আরও পড়ুন: নোটবন্দি কি আদৌ প্রাসঙ্গিক? কেন্দ্রের কাছে হলফনামা তলব সুপ্রিম কোর্টের]

নীতীশের ভোলবদল: বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ‘পল্টুরাম’ হিসাবে পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছেন। ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে কখন বন্ধুকে শত্রু, আর কখন শত্রুকে বন্ধু বানিয়ে ফেলতে হয়, সেটা ভালমতোই জানা আছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর। এবছরও নীতীশ কুমার ভোল বদলেছেন। বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডির হাত ধরে যোগ দিয়েছেন ইউপিএ-তে। তেজস্বী যাদবকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। তবে নীতীশের এবারের ভোলবদল একটু বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এবার শিবির বদলের পর জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো যেভাবে বিজেপিকে ‘গালমন্দ’ করে চলেছেন সেটা আগে কখনও করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বস্তুত, নীতীশ আপাতত বিজেপির সঙ্গে সখ্যকে অতীত ধরে নিয়ে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

শিব সেনা ভাগাভাগি: বালাসাহেব ঠাকরের দল। অথচ সেই দল থেকে তাঁরই ছেলেকে ব্রাত্য করে দেওয়ার চেষ্টা! মহারাষ্ট্রের রাজনীতি বছরের মধ্যভাগে নাটকীয় পটপরিবর্তনের সাক্ষী থাকল। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে অনাস্থা দেখিয়ে একনাথ শিণ্ডের (Eknath Shinde) নেতৃত্বে শিব সেনার একটা বড় অংশ হাত মেলাল বিজেপির (BJP) সঙ্গে। আরও একটি রাজ্যে সফল হল ‘অপারেশন লোটাস’। যার ফলে উদ্ধব ক্ষমতাচ্যুত হলেন। বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হলেন শিণ্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন দেবেন্দ্র  ফড়ণবিস (Devendra Fadanbis)। আড়াআড়িভাবে ভেঙে গেল শিব সেনা। নির্বাচন কমিশন দুই শিবিরকে আলাদা আলাদা দলের স্বীকৃতি দিয়েছে। শিব সেনার তির-ধনুক প্রতীক কাউকেই দেওয়া হয়নি।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গিদের জোড়া বুলেট বুক পেতে নিল সেনার কুকুর, কেমন আছে ‘জুম’?]

জাতীয় রাজনীতিতে আপের উত্থান: মাত্র এক দশকের পুরনো দল। রাজধানী দিল্লিকে ঘাঁটি করে আম আদমি পার্টির জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণের স্বপ্ন অনেকটা পূর্ণতা পেল ২০২২ সালে। বছরের শুরুতে পাঞ্জাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা হোক বা বছরের শেষে গুজরাটের মাটিতে খাতা খোলা, আম আদমি পার্টি যে আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে বড় খেলোয়াড় হতে চলেছে, সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালেই। এক দশকেই আপ জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে দিল্লি, পাঞ্জাব, গোয়া এবং গুজরাটে আপ গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। আগামী দিনে আরও একাধিক রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তাঁর লক্ষ্য যে ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হওয়া, সেটা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের বিস্তার: শুধু আম আদমি পার্টি নয়। জাতীয় রাজনীতিতে এ বছর নিজেদের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সৌজন্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেক তৃণমূলকে গোয়ায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে এরাজ্যের শাসকদল। আর মেঘালয়ে এখন প্রধান বিরোধী দলই হল তৃণমূল। শুধু রাজ্যে রাজ্যে ক্ষমতা বাড়ানোই নয়, দিল্লিতেও নিজেদের নীতি বদলে ফেলেছে এরাজ্যের শাসক দল। প্রথমত, কীর্তি আজাদ, সাকেত গোখলে, মজিদ মেমনদের মতো নেতাদের দলে টেনে রাজধানীতে নিজেদের উপস্থিতি তৈরি করেছে তৃণমূল। একই সঙ্গে কংগ্রেসের ল্যাজুড় হিসাবে না থেকে নিজেদের আলাদা ‘আইডেন্টিটি’ তৈরি করার জায়গাটা সফলভাবে করে ফেলেছেন এরাজ্যের শাসকদলের নেতারা। তৃণমূলও চাইছে ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরতে।

[আরও পড়ুন: মিলল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অনুমোদন, বুস্টার ডোজ হিসেবে আসছে ন্যাজাল ভ্যাকসিন]

যোগীতেই ভরসা ইউপির: ২০২২ সালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Election) ভোট। আর সেখানে খুব প্রত্যাশিতভাবেই বাজিমাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ হেন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে জয় বিজেপির (BJP) অন্দরে একলাফে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে যোগীর গুরুত্ব। তবে শুধু যোগীর জয় নয়, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের অবিসংবাদী বিরোধী হয়ে ওঠাটাও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে উত্তরপ্রদেশে এবছর নির্বাচন কার্যত হয়েছে দ্বিমুখি। মায়াবতীর বিএসপি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির প্রধান এবং একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। একই সঙ্গে নির্বাচনে উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়াতেও জিতেছে বিজেপি।

গুজরাট জয়, হিমাচল-দিল্লিতে ধাক্কা বিজেপির: যোগীর গড় উত্তরপ্রদেশে বিজেপির যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল, বছর শেষে সেটা অব্যাহত রইল গুজরাটেও। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সপ্তমবার ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি। গুজরাটের রাজনীতিতে আপ (AAP) গুরুত্বপূর্ণ দল হিসাবে উঠে আসার খেসারত দিতে হয়েছে কংগ্রেসকে। হাত শিবিরের ভোটব্যাংক এবং আসন সংখ্যায় বিরাট ধস নেমে গিয়েছে। গুজরাটের সেই ধাক্কা অবশ্য কংগ্রেস কিছুটা সামলে নিয়েছে হিমাচল প্রদেশে। পাঁচ বছর অন্তর অন্তর পাহাড়ি রাজ্যটিতে সরকার বদলের যে রীতি, সেটা বজায় রেখে হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতা দখল করেছে হাত শিবির। হিমাচলে রীতি বদলে ক্ষমতা ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা অবশ্য বিজেপি করেছিল। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। হিমাচলে এভাবে ক্ষমতা হারানোটা বিজেপির জন্য ধাক্কা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। গেরুয়া শিবির আরও একটা জায়গায় ধাক্কা খেয়েছে, সেটা হল রাজধানী দিল্লি। ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর দিল্লি পুরনিগম হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। নিজের গড়ে প্রথমবার পুরসভা দখল করেছে আম আদমি পার্টি।

ইডি-সিবিআই সক্রিয়তা: ইডি (ED), সিবিআইয়ের (CBI) মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ জাতীয় রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবছর এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ব্যবহার যেন অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেল। কংগ্রেসের ‘ফার্স্ট ফ্যামিলি’ থেকে শুরু করে তৃণমূল, আপ, শিব সেনা পর্যন্ত প্রায় সব দলই কমবেশি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র শিকার হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা ৫০ ঘণ্টার বেশি জেরা করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। ইডির দপ্তরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে সোনিয়া গান্ধীকেও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ভালমতো ‘হেনস্তা’ করেছে ইডি। ছাড় দেওয়া হয়নি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও। মহারাষ্ট্রের একাধিক মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গ্রেপ্তার করেছে এবছরই। একই ছবি দিল্লিতেও। ইডির দেওয়া চার্জশিটের ভিত্তিতে কার্যত গদি হারাতে বসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। বিরোধীদের অভিযোগ, এ সবকিছুর নেপথ্যেই রয়েছে বিজেপির হাত। যদিও সরকার এই অভিযোগ স্পষ্ট অস্বীকার করে জানিয়ে দিয়েছে, এই স্বশাসিত সংস্থাগুলি নিজেদের মতোই কাজ করে। আগামী দিনে এই সংস্থাগুলিকে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন উপজাতি, ফের লকডাউনের পথে হাঁটবে কেন্দ্র? কী জানাল IMA?]

হিজাব এবং পয়গম্বর বিতর্ক: ২০২২ সালের সিংহভাগ সংখ্যালঘু সম্পর্কিত দুটি বিতর্ক শিরোনামে থেকেছে। এক কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক। আর দুই পয়গম্বর নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্য। কর্ণাটক সরকার বছরের শুরুতে কর্ণাটক শিক্ষা আইন, ১৯৮৩-র ১৩৩ (২) নামের একটি সংশোধনী আইন আনে। সেই আইন অনুযায়ী, সমস্ত পড়ুয়াকে কলেজ কমিটির বেছে দেওয়া পোশাক পরেই কলেজে আসতে হবে। কোনওরকম ধর্মীয় পোশাক পরা চলবে না। কর্ণাটক সরকারের এই ফরমানে জোর বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। উদুপি ও চিকমাগালুর জেলার বহু মুসলিম পড়ুয়া হিজাব ছাড়া কলেজে যেতে অস্বীকার করে। তৈরি হয় বিতর্ক। ক্রমে সেই বিতর্কের আঁচ পড়ে গোটা দেশে। আদালতে মামলা হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টও এ নিয়ে ‘স্প্লিট ভারডিক্ট’ দিয়েছে। যার ফলে আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব পরা বন্ধই আছে। চলতি বছরের আরেক বড় বিতর্ক হল পয়গম্বর বিতর্ক। বছরের মাঝামাঝি বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা, নবিকে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছিলেন। যার জেরে গোটা দেশে কার্যত আগুন জ্বলে যায়। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ। ভাঙচুর, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, এমন অনেক কিছুই হয়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে নূপুরের বিরুদ্ধে ১০টি রাজ্যে মামলাও হয়। সুপ্রিম কোর্টে সবকটি মামলা একত্রিত করে এখনও শুনানি চলছে। বিজেপি বাধ্য হয়ে নূপুরকে বরখাস্ত করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement