দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পঞ্চায়েতের পর লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) আগেও উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা। মাঠেরদিঘি এলাকায় বিজেপির কর্মিসভায় হামলার অভিযোগ। পালটা তৃণমূলের উপর হামলা বিজেপির। সবমিলিয়ে রণক্ষেত্র গোটা এলাকা। জখম হয়েছেন দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই দাবি।
বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দারের অভিযোগ, সরকারি অনুমতি নিয়ে জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায় কর্মিসভা হচ্ছিল। সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে। বেধড়ক মারধর করা হয় অভিযুক্তদের। বিজেপির দাবি, পুলিশকে হামলার কথা জানানো হয়। তা সত্ত্বেও আহত দলীয় কর্মীদের উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বরং তাঁদের উপরেই হামলা করা হয়েছে বলেই দাবি। তৃণমূলের ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বিজেপির লোকজনেরা কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে। তা থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। অশান্তির জেরে আমাদের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: বড় ভূমিকা ছিল রাফালে চুক্তিতে, এবার বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের]
ভোটের আগে এই অশান্তিকে কেন্দ্র করে থমথমে জীবনতলা থানার মাঠেরদিঘি এলাকা। তৃণমূল ও বিজেপির হাতাহাতিতে জখম দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই দাবি। ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিজেপির দুই কর্মীকে। যাঁদের মধ্যে সুব্রত দাস নামে এক মণ্ডল সভাপতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, তৃণমূলের দুজনকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রামকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।