সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: নির্বাচনী ময়দানে ব্যালট যুদ্ধ তো স্বাভাবিক। তবে তার আগে বাকযুদ্ধেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার কম চেষ্টা করেন না যুযুধান প্রার্থীরা। আর এ বিষয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বাকিদের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে, তা বলাই যায়। চব্বিশের নির্বাচনে (2024 Lok Sabha Election) প্রার্থী হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই প্রচারে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একেকটা বেফাঁস কথা বলে ফেলছেন। নির্বাচন কমিশন তাঁকে ভাষা প্রয়োগে সংযত থাকার বার্তা দিলেও থোড়াই কেয়ার! দিলীপ রয়েছেন দিলীপেই। এবার তাঁর মুখে শোনা গেল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের (Surgical Strike) হুঁশিয়ারি!
সোমবার সকালে দুর্গাপুরে (Durgapur) প্রচারে বেরিয়ে চা-চক্রে যোগ দেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই তাঁর হুঁশিয়ারি, বাংলায় পুলওয়ামা (Pulwama) কিংবা বালাকোটের মতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে। সংখ্যালঘুদের 'ক্রিমিনাল' করে রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন দুর্গাপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এমএএমসির বি১ মোড়ের একটি মাঠে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ভূপতিনগর প্রসঙ্গে তোলেন বিজেপি প্রার্থী। সেখানে NIA-এর অভিযান প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "যারা রাষ্ট্রদ্রোহী, যারা বোম-বন্দুকের কারখানা বানাচ্ছে, যাদের সঙ্গে বিদেশের হাত আছে, তাদের সবার ঘরে ঘরে যাবে এনআইএ। যখন খুশি যাবে। এখানে পুলওয়ামা, বালাকোটের থেকেও বড় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হতে পারে।"
[আরও পড়ুন: স্বামী বা স্ত্রী বেসরকারি চাকরি করলেও বন্ধ করা যাবে না বাড়িভাড়া ভাতা, রাজ্যকে নির্দেশ হাই কোর্টের]
তাঁর এহেন হুঁশিয়ারির জবাব অবশ্য খুব ঠান্ডা মাথায় দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) শ্রমিক নেত্রী তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ দোলা সেন। সোমবার সকালে ভূপতিনগর নিয়েই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে যাচ্ছে তৃণমূল প্রতিনিধিদল। দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ''মানুষই এর জবাব দেবেন। আগেও দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষকেও মানুষই জবাব দেবেন।''
[আরও পড়ুন: ঘাটালে লড়বেন বিজেপি ছেড়ে আসা পাপিয়া, উলুবেড়িয়ায় যুব সভাপতি, আরও ৩ আসনে প্রার্থী দিল কংগ্রেস]
এর আগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghsoh) বিজেপি প্রার্থীকে ঘেরাও করা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "দম থাকলে দিলীপ ঘোষকে ঘেরাও করে দেখুক কুণাল ঘোষ। তার যে সব চামচা, বেলচা আছে, আসুক আমার সামনে। এই সব বাদ দিন। পাবলিক ওদের তাড়া করে মারবে। জামাকাপড় খুলে নেবে। ভেবেচিন্তে কথা বলুন। দিন পালটে গিয়েছে। হয় এজেন্সি খুঁজবে না হয় পাবলিক খুঁজবে।" সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে তিনি বলেন,"সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে নয়, সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা চিন্তিত। ভোটের বাজারে ওদের গরিব, ক্রিমিনাল করে রাখা হয়েছে। বাচ্চাদের ভাতার টাকা লুট করা হচ্ছে।"