অর্ক দে, বর্ধমান: সিনেমা আর রাজনীতি - দুয়ের যে বিস্তর মিলমিশ আছে, তা নতুন কিছু নয়। বঙ্গ রাজনীতিতেও একের প্রভাবে অন্যের উপর পড়ে, তাও বহু প্রচলিত। তা সত্ত্বেও বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থীকে নিয়ে যখন বলিউডের দেশপ্রেমের সিনেমার সংলাপে নয়া স্লোগান ওঠে, ভোট ময়দানে তা নিয়ে কম হইহই হয় না মোটেও। ঠিক যেমন হল দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নিয়ে।
রবিবার বাংলার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় দেখা গিয়েছে, নিজের গড় মেদিনীপুরে নয়, চব্বিশের লোকসভা ভোটে (2024 Lok Sabha Election) দিলীপকে প্রার্থী করা হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। আর সোমবার সকালেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে গেলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আর তাঁকে নিয়ে নতুন স্লোগান তুললেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। শক্তিগড় থেকে বর্ধমান টাউন পর্যন্ত বাইক র্যালিতে কর্মীদের মুখে শোনা গেল 'উরি দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' সিনেমার বিখ্যাত ডায়লগ 'হাউ ইজ দ্য জোশ/ দিলীপ ঘোষ...'। বোঝাই যাচ্ছে, দিলীপকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে বর্ধমানের মাটিতে নিঃসন্দেহে লড়াইয়ের নতুন 'জোশ' পেলেন গেরুয়া ব্রিগেডের তৃণমূল স্তরের কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: দোলে রঙিন সৌমিত্র, বাইকে সঙ্গী নববিবাহিত স্ত্রী, পরনে হলুদ-লাল রংমিলান্তি পোশাক]
বাংলার ৪২ আসনে প্রার্থী দিতে এমনিতেই আলোচনার একটা দীর্ঘ স্তর পেরিয়ে এসেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তা সত্ত্বেও তিন আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি। কেন্দ্র বদল হয়েছে অনেকের। তার মধ্যে একজন বঙ্গে বিজেপির অন্যতম ভরসাযোগ্য সৈনিক দিলীপ ঘোষ। তাঁকে মেদিনীপুরের বদলে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর (Bardhaman-Durgapur) কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। এখানে তাঁর মূল প্রতিপক্ষ প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। আর সোমবার প্রচারে নেমে তাঁকেই 'বাউন্সার' দিয়ে 'খেলা' নিজের হাতে নেওয়ার হুঙ্কার দিলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ''আমি এসে গিয়েছি। এবার একের পর এক বাউন্সার মারব। জানি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি। কিন্তু এই লড়াইয়ে আমিই ছক্কা মেরে সবাইকে মাঠের বাইরে বের করে দেব। মেদিনীপুরে আমি নিজেই পিচ তৈরি করে এসেছি। বর্ধমানে অচেনা পিচ হলেও ব্যাটসম্যান আমিই।''
[আরও পড়ুন: রংবাজি নাকি ডিগবাজি? বঙ্গ রাজনীতিতে রং বদলেও ‘রং’ নন যাঁরা]
রবিবার রাতে নিজের কেন্দ্র জানতে পেরেই নিজের কর্মসূচি স্থির করে নিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। অচেনা 'মেদিনী'তে যুদ্ধ, সময় নষ্ট করতে নারাজ তিনি। তাই দোল হলেও এদিন সকালেই দিলীপ পৌঁছে যান বর্ধমানে। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বসে স্ট্র্যাটেজি স্থির করেন। এখানে থেকেই লাগাতার প্রচার করবেন তিনি।