সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই বিতর্কে কল্যাণী AIIMS। কখনও জমি জট, কখনও নিয়োগ দুর্নীতি, কখনও বিনা অনুমতিতে উদ্বোধন। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে সেই সব বিতর্কের জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলায় AIIMS তৈরি হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে রাজ্য সরকারের। তাই অনুমতি নিয়ে এত বিতর্ক।
কৃষ্ণনগরের সভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “মোদি (Narendra Modi) বাংলাকে প্রথম AIIMS দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি মোদিই পূরণ করেছেন। মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি। এই কল্যাণী AIIMS তৈরি হওয়ায় রাজ্যের চিন্তা বেড়েছে। তাই ওরা প্রশ্ন তুলছে এর অনুমতি কে দিয়েছে? কারণ, কমিশন না পেলে এরা কিছুর অনুমতি দেয় না। তৃণমূলের রাজত্বে বাংলায় তোলাবাজদের তোলাবাজি করার অনুমতি আছে, অথচ এতবড় হাসপাতালের পারমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে!”
[আরও পড়ুন: মিলল না CAA বার্তা, শুভেন্দু-সুকান্ত সরব হলেও মহুয়ায় মৌন মোদি]
কল্যাণীতে এইমস তৈরি নিয়ে টানাপোড়েন সেই নয়ের দশক থেকে। প্রণব মুখোপাধ্যায় কলকাতার অদূরে এই শহরে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরিতে উদ্যোগী ছিলেন। শেষপর্যন্ত সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। শেষে ২০১৫ সালে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগে ওই এইমস তৈরির কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে। কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই এইমস নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই এইমসেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রীশেখর দানা এবং মুকুটমণি অধিকারী।
[আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরে মোদিকে দেখতে হুড়োহুড়ি জনতার, হাতজোড় করে শান্ত থাকার আর্জি প্রধানমন্ত্রীর]
আবার গত সপ্তাহে মোদির হাতে এই এইমসের উদ্বোধনের সময়ও দেখা যায় বিতর্ক। অভিযোগ, পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এইমসের ভবনটি নির্মাণ হয়েছে। কল্যাণী এইমস ভবন নির্মাণের জন্য এই ছাড়পত্রের আবেদন করেছিল ‘ভায়োলেশন ক্যাটাগরি’-র আওতায়। নির্মাণকাজ শুরুর পর পরিবেশগত ছাড়পত্রের আবেদন করা হলে তাকে বলা হয় ‘ভায়োলেশন ক্যাটেগরি’তে আবেদন। নিয়ম হল, নির্মাণকাজ শুরুর আগেই ছাড়পত্রের আবেদন করা। পর্ষদের দাবি, তা করেনি এইমস কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই পরে ‘ভায়োলেশন ক্যাটেগরি’-তে আবেদন। শেষ পর্যন্ত অনুমতি ছাড়াই সেটার উদ্বোধন করেন মোদি। সেই অনুমতি বিতর্কে এবার রাজ্যকেই দায়ী করলেন মোদি।