রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দিল্লি (Delhi) দখলের লড়াই কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও বিজেপি দেশের ১৯৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলার ২০ আসন। রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন কাঁথি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু। কাঁথির (Kanthi) বর্তমান সাংসদ প্রবীণ শিশির অধিকারীর ছোট ছেলে তিনি। আর ছেলের হয়ে প্রচারে নেমেই শিশিরবাবু তুলোধোনা করলেন তৃণমূলকে। সাফ জানালেন, ”আগেরবার তো তাঁকে তৃণমূলের লোকজনই ভোট দেননি। শুধুমাত্র দলের প্রতীকটুকুই দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে দল থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করার চেষ্টা হয়েছিল।”
কাঁথি বরাবর শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari)কেন্দ্র বলে পরিচিত। এখান থেকে তিনি তৃণমূলের হয়ে তিনবার সাংসদ হয়েছেন। ২০১৯ এ কাঁথির সাংসদ হওয়ার পর একুশের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় যোগ দেওয়ার পর থেকে ধরে নেওয়া হয়েছিল, তিনি দলবদল করছেন। এই বিষয়টি এখনও তৃণমূলের তরফে দলবদল আইনের আওতায় সংসদে বিচারাধীন। তবে এবার আর অশীতিপর শিশির অধিকারী ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন না। সেই কেন্দ্রেই তাঁর ছোট ছেলে সৌমেন্দুকে প্রার্থী করল বিজেপি (BJP)।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য প্রত্যেক শহরে শাখা স্থাপন, সমবায় ব্যাঙ্কের যৌথ সংগঠন NUCFDC-র উদ্বোধন অমিত শাহর]
ছেলে সৌমেন্দুকে (Soumendu Adhikari) নিয়ে গর্বিত শিশিরবাবু। বললেন, ”খুব ভালো প্রার্থী হয়েছে। ও অনেকদিন ধরে রাজনীতি করছে। দক্ষতার সঙ্গে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ সামলেছে। কলকাতা, দিল্লি সব জায়গা ঘোরা। সংসদের দরজা চিনতে নতুন কোনও সাংসদের ১০ বছর লেগে যায়। ওর কিন্তু ১০ মিনিট লাগবে। ও সব জানে।” শুধু ছেলেই নয়, মোদি-শাহর দলের সমস্ত প্রার্থীর হয়েই প্রচারে নামবেন বলেও জানান শিশিরবাবু।
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: মোদির সভায় বিজেপিতে যোগ, ভোটে তমলুকের প্রার্থী হচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়!]
তাহলে তিনি কি সত্যিই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। বলেন, ”যোগ দেওয়ার আবার কী আছে? ওই হাঁটুর বয়সী ছেলেগুলো আমাকে যোগদান করাবে? আমার রাজনৈতিক জীবন ৬০, ৬৫ বছর হয়ে গেল। আমি মোদি-শাহর সঙ্গেই আছি। যেদিন থেকে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, সেদিন থেকেই গোটা পরিবার বিজেপি।” এদিকে, অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুক কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর জল্পনা রয়েছে। তবে তিনি আদৌ টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।