সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কাটোয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)সভা থেকে ফেরার সময় বড়সড় দুর্ঘটনা। পূর্ব বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরগামী বাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হলেন তিন তৃণমূল (TMC) কর্মী। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই তৃণমূল কর্মী। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। বাকি দুই তৃণমূল কর্মীকে অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ওই হাসপাতাল থেকে। শুক্রবার রাতে ওই কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
শুক্রবার কাটোয়ায় ‘জনগর্জন সভা’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের ভোকাল টনিকে চাঙ্গা করে তুলতে জেলায় জেলায় লোকসভা কেন্দ্রগুলি ( 2024 Lok Sabha Election) ধরে ধরে সভা করছেন অভিষেক। এদিন সেই সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন শয়ে শয়ে তৃণমূল কর্মী, সমর্থক। সভাস্থলে এই সমাগম দেখে অভিষেক আত্মবিশ্বাসের সুরেই বলেন, এই জনগণও যদি তৃণমূলকে ভোট দেয়, তৃণমূল হাসতে হাসতে জিতবে।
[আরও পডু়ন: ভোটের আগে ৪ নতুন জেলাশাসক নিয়োগ কমিশনের, কোন জেলার দায়িত্বে কে?]
কিন্তু এই সভা থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তৃণমূল কর্মীদের বাস। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সভার পর পাণ্ডবেশ্বরের দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাসটি ইলামবাজার হয়ে ফিরছিল। ইলামবাজার ঢোকার মুখে একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। পাণ্ডবেশ্বরগামী ওই বাসটিতে প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক ছিলেন। গুরুতর আহত হন রামচন্দ্র পাসি নামে বছর চৌষট্টির এক কর্মী। তিনি আপাতত ভেন্টিলেশনে। তাঁর মাথায় ও বুকে গুরুতর চোট লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে যান মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁরা আহত কর্মীদের চিকিৎসার দেখভাল করেন। জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাটি খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ওই গুরুতর জখম কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি এবং তার সুস্থতার বিষয়ে দল সম্পূর্ণ পাশে থাকবে।” ওই জখম কর্মী ও তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও।