রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকায় ঘুরে ত্রিপল বিলি করলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আর তাঁর এই কাজে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল বিজেপি। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। রবিবার ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগস্ত গোটা আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণ-কামসিং, তপসিখাতা ছয়মাইল, ঘরঘরিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকা। মঙ্গলবার দক্ষিণ কামসিং পূর্বপাড়া গ্রামে তিনি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান এবং ত্রিপল বিতরণ করেন অনেক বাড়িতে। বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে এভাবে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ (Model code of conduct) করে কোনো জনপ্রতিনিধি বিধায়ক রিলিফ দিতে পারেন না।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী,ভোটের আগে (2024 Lok Sabha Polls) কোনও বিপর্যয় হলে প্রশাসনিক আধিকারিক অর্থাৎ বিডিও ও জেলাশাসক ত্রাণ দিতে পারেন। রাজনৈতিক দলের কেউ এই কাজে যুক্ত থাকতে পারেন না। তবে নির্বাচনী বিধিনিষেধ ভেঙে এভাবে ত্রিপল বিতরণ করায় নিয়ম ভেঙে করছে। আমরা এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ করব। এনিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, "প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অনেক মানুষ সর্বহারা হয়েছেন। রাজনীতিটাই এখন বড় কথা নয়। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই কর্তব্য বলে মনে করি। আমার গাড়িতেই ত্রিপল ছিল। সেগুলি তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। আমি কোনও রাজনৈতিক প্রচারে যাইনি। বরং সেখানে প্রশাসনিক কর্তারা গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আমি বিধায়ক হিসেবে সেখানে পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। রাজনীতি নয়, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে ছিলাম।''
[আরও পড়ুন: তিহাড়ে কাটল প্রথম রাত, কালকুঠুরিতে কেজরির ‘ডেইলি রুটিন’ কেমন?]
উল্লেখ্য, সোমবারই আলিপুরদুয়ারের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ''বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসন ভালো কাজ করছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ, খাবারের ব্যবস্থা করেছে। যদিও এখন ভোটের সময়, আদর্শ আচরণবিধি লাগু রয়েছে। কিন্তু এখন বিপদের সময় কি আর আচরণবিধি মেনে চলা যায়?'' অর্থাৎ এই পরিস্থিতিতে দলের সদস্যরাও যে কাজ করবেন, সেই ইঙ্গিত কিছুটা ছিল। তাই কি মঙ্গলবার সুমন কাঞ্জিলালের ত্রিপল বিলি? তিনি নিজে যদিও সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন।